যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সৌদি সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে : ঈসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলান

বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সৌদি সরকারের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলান। 

গতকাল রবিবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আরবি বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এ কথা বলেন সৌদি রাষ্ট্রদূত। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। 

বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির। রাষ্ট্রদূত ইসা বলেন, ‘শিক্ষা-গবেষণাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আগামীতে সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত হবে।’ বাংলাদেশি কর্মীদের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সৌদি আরবের উন্নয়নে বাংলাদেশি কর্মীদের বিশেষ অবদান রয়েছে। 

দেশটির সব অঞ্চলে এ দেশের লোক পাওয়া যায়। কর্মদক্ষতার মাধ্যমে তারা আর্থ-সামাজিক অবদান রাখছেন।’  অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আরবি বিভাগের আয়োজনে এ ধরনের অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের এগিয়ে চলার পথে অনুপ্রেরণা যোগাবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা, তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হবে এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আরো বিস্তৃত হবে। 

অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সৌদি রাষ্ট্রদূত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

নবীনবরণ অনুষ্ঠানে আরবি বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ১৫জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়।