কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

পাপীদের পরকালে আল্লাহর সামনে অপদস্থ করা হবে

কিয়ামতের দিন আল্লাহ বান্দার আমলের প্রতিদান দেবেন এবং ভালো ও মন্দ আমল অনুসারে তার সঙ্গে আচরণ করবেন। সেদিন আল্লাহ যেমন পুণ্যবান বান্দাকে সম্মানিত করবেন, তেমনি পাপীদের অপমানিত করবেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, সেদিন কোনো কোনো মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হবে, তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে। কোনো কোনো মুখমণ্ডল হবে বিবর্ণ, তারা আশঙ্কা করবে যে এক ধ্বংসকারী বিপর্যয় তাদের ওপর আপতিত হবে।

(সুরা : কিয়ামাহ, আয়াত : ২২-২৫)

কিয়ামতের দিন যারা অপমানিত হবে : এখানে সেই সব মানুষের আলোচনা করা হলো, আল্লাহ যাদের অপমানিত করবেন।

১. যারা মুসলমানের সম্মান রক্ষা করে না : যারা কোনো মুসলমানের সম্মান নষ্ট হতে দেখেও তা রক্ষায় এগিয়ে আসে না, আল্লাহ তাদের অপমান করবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তির সামনে কোনো মুমিনকে অপমান করা হলো এবং সে তাকে সাহায্য করল না, অথচ সে সাহায্য করতে সক্ষম ছিল, কিয়ামতের দিন আল্লাহ সমগ্র সৃষ্টির সামনে তাকে অপমান করবেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৫৯৮৫)

২. যারা লোক-দেখানো আমল করে :যারা মানুষের প্রশংসা কুড়ানোর জন্য আমল করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের অপমান করবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর জন্য বা প্রশংসার আশায় আমল করে, কিয়ামতের দিন সমগ্র সৃষ্টির সামনে আল্লাহ তা প্রকাশ করে দেবেন। (আল বাজ্জার, হাদিস : ২৬৫৭)

৩. অবিশ্বাসী ও মুনাফিক :কিয়ামতের দিন আল্লাহ অবিশ্বাসী ও মুনাফিকদের মিথ্যাচার প্রকাশ করে দেবেন। ফলে তারা মানুষের সামনে অপমানিত হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্তিকে তার রবের নিকটবর্তী করা হবে। তারপর আল্লাহ তার ওপর পর্দা ঢেলে দেবেন এবং তার পাপের ব্যাপারে তার থেকে জবানবন্দি নেবেন। তিনি প্রশ্ন করবেন, তুমি তোমার পাপ সম্পর্কে জানো? সে বলবে, হে প্রতিপালক! আমি জানি। এরপর তিনি বলবেন, তোমার এই পাপ দুনিয়ায় আমি লুক্কায়িত রেখেছিলাম। আজ তোমার এই পাপগুলো আমি মাফ করে দিলাম। এরপর তার নেকির আমালনামা তার কাছে দেওয়া হবে।