যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ

বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে শিক্ষা ও সামাজিক মূল্যবোধ যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে কার্যকরী বলে স্পষ্টত প্রতীয়মান। বিভিন্ন সংস্থা (সরকারী এবং এনজিও) যৌতুক প্রথা নিরসনে মূলত নারীর শিক্ষা, প্রগতিশীলতা, অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা এবং স্বাধীনতা তথা আধুনিকায়নের উপর বিশেষভাবে জোর দিয়ে থাকে। সামাজিক মূল্যবোধকে (যেমন মোহরানা) এ ক্ষেত্রে সাধারণত উপেক্ষা করা হয় বা তেমন গুরুত্ব দেয়া হয় না, কেননা আমাদের দেশের যৌতুক-বিরোধী কর্মকাণ্ডে পাশ্চাত্যের মডেলকে অনুসরণ করা হয়। মনে রাখা দরকার, এই ভাবধারা বা মডেল অনুযায়ী পশ্চিমা সমাজ যেমন যৌতুক নামক সামাজিক ব্যাধি থেকে মুক্তি পেয়েছে, তেমনি অন্য আরো নতুন নতুন সামাজিক অবক্ষয়েরও জন্ম দিয়েছে। নারীরাই মূলত এই অবক্ষয়ের শিকার হচ্ছে। আর মেয়েদেরকে গড়ে তোলা হচ্ছে সেক্সুয়াল  অবজেক্ট হিসেবে।

মুসলিম সমাজের ‘একের অধিক বা বহু বিবাহ নিয়ে যারা উপহাস-বিদ্রূপ করে থাকে তারাই কিনা অবাধ ও বাছ-বিচারহীন যৌন ক্ষুধা মিটিয়ে থাকে। সেন্টার ফর ডিজীজ কন্ট্রোল (CDC)’র সমীক্ষায় দেখায় যায় আমেরিকার একজন পুরুষ অন্তত কমপক্ষে ৭ জন নারীর সজ্জাসংগী হয়। এদের প্রায় ৩০% রয়েছে ১৫ জনেরও বেশী সজ্জাসঙ্গিনী। ইউরোপে এই হার আরো বেশী। যেমন অস্ট্রিয়াতে প্রত্যেকে পুরুষ কমপক্ষে ২৯ জন নারীকে ভোগ করে। আর এই অবাধ মেলামেশাকে ‘প্রাকৃতিক বলে অভিহিত করে জাস্টিফাই করা হয় ডারউইনিয়ান বিবর্তনবাদ তত্ত্ব দিয়ে! আর এসব কারণে লক্ষ লক্ষ গর্ভস্থশিশুকে গর্ভপাতের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে বিবাহ-বিচ্ছেদের হারও আশংকাজনকভাবে বেশী। অবাধ যৌনাচার ও বিবাহ বিচ্ছেদের ফলে মিলিয়ন মিলিয়ন শিশু বেড়ে উঠছে এক-কেন্দ্রিক পরিবারে (Single-parent)। বাবা অথবা মার অনুপস্থিতিতে শিশুদের মানসিক বৃদ্ধি যে বাধাগ্রস্ত হয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০০৬ সালের জরিপ অনুযায়ী আমেরিকার প্রায় ১৩ মিলিয়ন পরিবার এক-কেন্দ্রিক বা Single-parent. আমাদের দেশে সামাজিক মূল্যবোধ জলাঞ্জলি দিয়ে যৌতুক প্রথা নিরসন করা হলেও নারীরা যে তাদের প্রাপ্য সন্মান ও অধিকার আদায় করতে পারবে – তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে?