অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আল্লাহর ওপরই তাওয়াক্কুল করো, যদি তোমরা মুমিন হও। (সূরা মায়েদা, আয়াত : ২৩)
আরও বর্ণিত হয়েছে, ‘যখন তুমি দৃঢ় সংকল্প করবে, তখন আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওয়াক্কুলকারীদের ভালোবাসেন। মুমিনদের আল্লাহর ওপরই তাওয়াক্কুল করা উচিত’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৫৯-১৬০)।
মুমিনের জন্য আল্লাহর ওপর ভরসার পাশাপাশি চেষ্টা-সাধনা এবং নিজের কর্মব্যস্ততা অব্যাহত রাখা জরুরি। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে তাওয়াক্কুলের পাশাপাশি চেষ্টার মাধ্যমে ফলাফল দান করে থাকেন।
হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন. তোমরা যদি যথাযথভাবে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করো, তাহলে তিনি তোমাদেরকে অবশ্যই রিজিক দেবেন, যেমন দান করেন পাখিদের। পাখিরা সকালে ক্ষুধা নিয়ে খালি পেটে বাহির হয় আর সন্ধ্যাবেলা পেট ভরে ফিরে আসে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৪৪, ইবনে মাজা, হাদিস : ৪১৬৪)।
এই হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত— পাখি যেভাবে আল্লাহর ওপর ভরসা করে বাসায় বসে থাকে না, আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল সত্ত্বেও তাকে সকালে জীবিকার সন্ধানে বের হতে হয়, তেমনি মানুষেরও শুধু তাওয়াক্কুল করে বসে থাকলে চলবে না, বরং তাওয়াক্কুলের সঙ্গে সঙ্গে উপায়ও অবলম্বন করতে হবে। পাখির জীবিকার সন্ধানে বের হওয়া যেমন তাওয়াক্কুল পরিপন্থী নয়, তেমনি মানুষেরও উপায় অবলম্বন করা তাওয়াক্কুল পরিপন্থী নয়।