এ বছর পবিত্র হজের খুতবা দেবেন পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ বিন হুমাইদজুলুমকারীদের জন্য আখেরাতে কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছেকোরআন ও হাদিসে নারীর সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকারযে পদ্ধতিতে হজ করা উত্তম২১৫ বছর আগের মসজিদ রংপুরের প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম
No icon

অন্যকে সম্মান করা ইসলামের শিক্ষা

পারস্পরিক সম্মানবোধের চেয়ে বড় কোনো আন্তরিকতা নাই। কাউকে কোনো উপহার দিলেন কি না, একবেলা নিমন্ত্রণ করে খাওয়ালেন কি না, এ সবে কিছুই আসে যায় না। পাশে না বসেও, গল্প না করেও মানুষের আপন হওয়া যায়, যদি পারস্পরিক সম্মান রাখেন। দামি উপঢৌকন দিলেন, উন্নত খাবার খাওয়ালেন। কিন্তু সম্মান দিলেন না, কোনো লাভ নাই এতে। মানুষ হিসেবে কেউ ছোট-বড় যাই হোক, সবাই সবার ন্যায্য সম্মানটুকুই প্রত্যাশা করে। আত্মসম্মান আছে এমন কাউকে হাসতে হাসতে বকে দিলেও তার ভীষণ রকম লাগে। আপন-পর যিনিই হোক না কেন আপনি যদি তার সম্মান অপূর্ণ রাখেন তবে কখনোই আপন হতে পারবেন না। বন্ধু হোক কিংবা স্ত্রী, বয়সে ছোট থেকে বৃদ্ধ, হোটেলের কর্মচারী থেকে রাস্তার ভিক্ষুক, যে যার অবস্থান অনুযায়ী প্রাপ্য সম্মানটুকুন আশা করে। জীবনের সর্বক্ষেত্রে পরস্পরকে সম্মান করতে পারাটা ভীষণরকম জরুরি। ইসলাম সব শ্রেণির মানুষকে সম্মান করার গুরুত্ব দিয়েছে। এটা ইসলামের শিক্ষা। আল্লাহতায়ালা সুরা বনি ইসরায়েলের ৭০ নম্বর আয়াতে বলেছেন, ‘আমি আদাম সন্তানকে সম্মানিত করেছি।’ সুতরাং কোনো মানুষকে অসম্মান করা মুমিনের কাজ হতে পারে না। মহান আল্লাহ আমাদের মধ্যে সম্মানবোধ জাগ্রত করুন। যেন আমরা সবাইকে যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন করতে পারি।