তাকবিরে তাহরিমার মাধ্যমে নামাজ শুরু করার পর নামাজের বাইরের সব কাজকর্ম হারাম বা নিষিদ্ধ হয়ে যায়। রাসুল (সা.) বলেন,
مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ সালাতের চাবি হলো পবিত্রতা। তাকবিরে তাহরিমা নামাজের বাইরের সব কাজ হারাম করে দেয় আর সালাম তা হালাল করে। (তিরমিজি: ২৩৮)
নামাজ অবস্থায় কারও সাথে কথা বলা বা কাউকে সালাম দেওয়াও নিষিদ্ধ। রাসুল (সা.) বলেছেন,
إِنّ هَذِهِ الصّلَاةَ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النّاسِ، إِنَّمَا هُوَ التّسْبِيحُ وَالتّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ. নামাজে কারও সাথে কথা বলার সুযোগ নেই। নামাজ শুধু তাসবিহ, তাকবি ও কোরআন তিলাওয়াত। (সহিহ মুসলিম, হাদিস ৫৩৭)
তাই নামাজ অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে বা ভুল করে কাউকে সম্বোধন করে কিছু বললে বা সালাম দিলে নামাজ ভেঙে যাবে। শুধু নিজে শুনতে পায় এতটুকু নিচু আওয়াজে কথা বলে ফেললেও নামাজ ভেঙে যাবে।কেউ যদি নামাজ আদায়রত ব্যক্তিকে সালাম দেয়, নামাজি ইচ্ছাকৃতভাবে বা ভুল করে সশব্দে অর্থাৎ মুখে সালামের উত্তর দেয়, তাহলে তার নামাজ ভেঙে যাবে।
নামাজ পড়া অবস্থায় কেউ সালাম দিলে ইশারায় সালামের উত্তর দেওয়া যাবে কি না এ বিষয়ে আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। হানাফি মাজহাব অনুযায়ী ইশারায় সালামের উত্তর দেওয়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয়, তবে কেউ ইশারায় সালামের উত্তর দিলে নামাজ ভাঙবে না।
অন্যান্য মাজহাবে নামাজ অবস্থায় ইশারায় সালামের উত্তর দেওয়া অপছন্দনীয় নয়, অনেকের মতে কেউ সালাম দিলে ইশারায় উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব।