
ইসলামে ইমানের পর নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ৮২ বার সরাসরি নামাজের কথা বলেছেন। নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত রয়েছে।ইসলাম নিজে আমল করার পাশাপাশি অন্যদের আমল করতে উৎসাহ দেওয়া বা দাওয়াত দেওয়ারও নির্দেশ দেয়। এ দাওয়াত শুরু করতে হয় নিজের ঘর থেকে, নিজের পরিবার থেকে। কোরআনে আল্লাহ প্রত্যেককে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন, একইসাথে পরিবারকে নামাজ পড়তে অভ্যস্ত করা, তাদেরকে নামাজের নির্দেশ দেওয়াারও নির্দেশনা দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন,
وَاْمُرْ اَهْلَكَ بِالصَّلٰوةِ وَاصْطَبِرْ عَلَیْهَا لَا نَسْـَٔلُكَ رِزْقًا نَحْنُ نَرْزُقُكَ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوٰی.
আর তোমার পরিবার-পরিজনকে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দাও এবং নিজেও তার উপর অবিচল থাকো। আমি তোমার কাছে রিজিক চাই না, আমিই তোমাকে রিজিক দেই আর শুভ পরিণাম তো মুত্তাকিদের জন্য। (সুরা ত্বহা: ১৩২)
আল্লাহর নবি ও নেক বান্দারা পরিবার পরিজনদের নামাজের নির্দেশ দিতেন তাও উল্লিখিত হয়েছে কোরআনে। নবি ইসমাইলের (আ.) প্রশংসা করতে গিয়ে আল্লাহ বলেছেন,
وَكَانَ یَاْمُرُ اَهْلَهٗ بِالصَّلٰوةِ وَالزَّكٰوةِ .
সে নিজের পরিবারকে নামাজ ও জাকাতের নির্দেশ দিতো। (সুরা মারিয়াম: ৫৫)
কোরআনে আল্লাহর আরেক প্রিয় ও নেক বান্দা হজরত লোকমানের (আ.) ছেলেকে নসিহত করার ঘটনায়ও উল্লিখিত হয়েছে তিনি তার ছেলেকে নামাজের নির্দেশ দিচ্ছেন,
یٰبُنَیَّ اَقِمِ الصَّلٰوةَ وَاْمُرْ بِالْمَعْرُوْفِ وَانْهَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَاصْبِرْ عَلٰی مَاۤ اَصَابَكَ اِنَّ ذٰلِكَ مِنْ عَزْمِ الْاُمُوْرِ.
হে আমার প্রিয় সন্তান, নামাজ কায়েম করো, সৎকাজের আদেশ দাও, অসৎকাজে নিষেধ কর এবং তোমার উপর যে বিপদ আসে তাতে ধৈর্য ধরো। নিশ্চয় এগুলো দৃঢ় সংকল্পের কাজ। (সুরা লোকমান: ১৭)
এ আয়াতগুলো থেকে বোঝা যায় নিজে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি পরিবার-পরিজনদের নামাজের নির্দেশ দেওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সদস্যরা যদি নামাজে অবহেলা করে, আমরা যদি সামর্থ্য ও ক্ষমতা অনুযায়ী তাদেরকে সাবধান না করি, নামাজের নির্দেশ না দেই, সেজন্য পরকালে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হতে পারে।