ইসলামের প্রধান ইবাদত নামাজ। নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য কিছু নির্ধারিত নিয়ম ও ধারাবাহিকতা মেনে চলতে হয়। যা যথাযথভাবে না করলে নামাজ হবে না। অনেকেই বিশুদ্ধভাবে নামাজের নিয়মগুলো জানেন না। নামাজের যে বিষয়গুলো জানা জরুরি, তাহলো-
১. সুরা ফাতেহা তেলাওয়াত করা। নামাজে সুরা ফাতেহা তেলাওয়াত না করলে নামাজ হবে না।
২. সুরা ফাতেহা তেলাওয়াতের পর অন্য একটি সুরা বা কুরআনের কোনো অংশ তেলাওয়াত করা।
৩. নামাজের দাঁড়ানো, রুকু, সেজদা, তাশাহহুদ ইত্যাদিতে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। আগেরটি পরে, পরেরটি আগে যেমন- আগে সেজদা এবং পরে রুকু করা। এমনটি করলে নামাজ হবে না।
৪. নামাজের প্রতি রোকন তথা দাঁড়ানো, সুরা তেলাওয়াত, রুকু-সেজদাগুলো ধীরস্থিরভাবে আদায় করা।
৫. তিন ও চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাজে প্রথম দুই রাকাআতের পর বৈঠকে বসা এবং শুধু তাশাহহুদ পড়া। বাকি ১/২ রাকাআত পড়ে তাশাহহুদ, দরূদ ও অন্যান্য দোয়া পড়া।
৬. নামাজের প্রত্যেক বৈঠকেই তাশহহুদ পড়া। এমনকি সাহু সেজদা দিয়ে বসার পরও তাশাহহুদ পড়তে হবে।
৭. বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়া। একান্ত দোয়া কুনুত না পাড়লে অন্য দোয়া পড়া।
৮. ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ৬ কিংবা ১১ তাকবির বলা।
৯. ফজর, মাগরিব ও ইশার নামাজে প্রথম দুই রাকাআতে কেরাত (সুরা ফাতেহা ও অন্য সুরা বা কুরআনের অংশ) উচ্চ আওয়াজে পড়া।
১০. জোহর ও আসর নামাজের কেরাত (কুরআন তেলাওয়াত) চুপে চুপে পড়া। যাতে উচ্চ আওয়াজ প্রকাশ না পায়।
১১. নামাজের উল্লেখিত কোনো একটি রোকন ভুলক্রমে ছুটে গেলে বা তরক হলে সাহু সেজদা করতে হবে।
সাহু সেজদা
শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ার পর ডানদিকে সালাম ফিরিয়ে আবার পরিপূর্ণ দুই সেজদা আদায় করে আবার তাশহহুদ ও দরূদ-দোয়ার মাধ্যমে নামাজ শেষ করা।
১২. নামাজ শেষ করতে আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ; বলে সালামের মাধ্যমে নামাজ শেষ করা।
নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য উল্লেখিত বিষয়গুলো যথাযথভাবে আদায় করা জরুরি। সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত যথাযথভাবে নামাজে উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা। নামাজের রোকনগুলো যথাযথভাবে আদায় করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজের আবশ্যক বিষয়গুলো যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।