শুরু হয়েছে নতুন আরবি বছর ১৪৪৩ হিজরি। নতুন বছরের মহররম মাসের প্রথম জুমআ আজ। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক নিয়মেই খুতবাহ ও জুমআর নামাজ পড়বেন মুসল্লিরা। প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের ব্যাপকতার মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওমরাহ পালনকারীরা কাবা শরিফ ও মদিনায় খুতবাহ শোনবেন এবং জুমআ নামাজ আদায় করবেন।আজ ১৩ আগস্ট ২০২১ইং মোতাবেক ০৪ জিলহজ ১৪৪৩ হিজরি (সৌদিতে) কাবা শরিফ ও মদিনায় খুতবাহ এবং জুমআর নামাজ পরিচালনার জন্য হারামাইন কর্তৃপক্ষ দুইজন প্রসিদ্ধ ইমাম ও খতিব নির্বাচিত করেছেন।
কাবা শরিফ : প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার, প্রবীণ ইমাম ও খতিব শায়খ ড. ওসামাহ খাইয়াত।
মদিনা শরিফ : প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শায়খ ড. হুসাইন বিন আব্দুল আজিজ আল-আশ-শায়খ।।
যথাযথ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ও নিজস্ব মুসাল্লাসহ হজে অংশগ্রহণকারী মসজিদে হারামের নামাজে উপস্থিত হবেন। স্বাস্থ্য নিরাপত্তার সুবিধার্থে নিজ নিজ জায়নামাজ, মাস্ক ও নিরাপদ দূরুত্ব বজায় রেখে নামাজ পড়বেন মুসল্লিরা।উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো সীমিত আকারে সুষ্ঠ-সুন্দর ও নিরাপদে হজ সম্পন্ন হওয়ার পর পরই শুরু হয়েছে ওমরাহ পালনের কার্যক্রম।
গত ১ মহররম ১৪৪৩ হিজরি থেকে সৌদি আরবের বাইরের দেশ থেকে মুসল্লিদের ওমরার অনুমতি ও কার্যক্রম শুরু করেছে দেশটি। ইতিমধ্যে পবিত্র মক্কা ও মদিনায় বাড়ছে মুসল্লির সংখ্যা। তবে ১৩টি দেশ সরাসরি ওমরায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তারা অন্য দেশে ১৪ দিন অবস্থান সাপেক্ষে ওমরাহ পালন করতে পারবে। যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনেই পবিত্র নগরী মক্কা-মদিনায় আগের মতো নামাজ, জুমআ ও ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালিত হবে