বেশ কয়েক দিন ধরে সারাদেশে চলছে তীব্র দাবদাহ। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছেন কর্মজীবী মানুষ। বৃষ্টির আশায় হাহাকার চলছে চারিদিক। এসময় রাজধানীর আফতাবনগরে সালাতুল ইসতিসকা বা বৃষ্টির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় এল ব্লক খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত নামাজ পড়িয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।
আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নামাজে অংশ নেন মুসল্লিরা। নামাজের পর অনাবৃষ্টি ও গরম থেকে মুক্তি চেয়ে মহান আল্লাহ কাছে দোয়া করা হয়। এদিকে পাপ মোচনের আশায় দুই হাত তুলে অশ্রুসিক্ত চোখে দোয়ায় অংশ নেন মুসল্লিরা। এ সময় প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে চলছে। আজ রাজধানীর তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত শনিবার রাজধানীতে সর্বোচ্চ ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা গত ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর টানা ১৪ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়।
অনাবৃষ্টি ও তীব্র গরম থেকে মুক্তি চেয়ে বৃষ্টির প্রার্থনায় নামাজ পড়া সুন্নত। হাদিস গ্রন্থে রাসুল (সা.)-এর এই আমলের কথা বিবৃত হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বিনয়ী ও বিনম্রভাবে সাধারণ পোশাক পরে ভীত হয়ে বের হন। অতঃপর দুই রাকাত নামাজ পড়েন যেভাবে তিনি ঈদের নামাজ পড়েন। তবে তিনি তোমাদের এই খুতবার মতো কোনো খুতবা দেননি। (তিরমিজি, হাদিস : ১৫০৮)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য বের হন। তিনি আমাদের সঙ্গে নিয়ে আজান ও ইকামত ছাড়া দুই রাকাত নামাজ পড়েন। অতঃপর আমাদের উদ্দেশে খুতবা দেন। এরপর তাঁর মুখ কিবলামুখী করে উভয় হাত ওপরে তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। তিনি তাঁর চাঁদর উল্টাপাল্টা করে পরেন। চাঁদরের ডান দিক বামে এবং বাম দিক ডানে নেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৮১২৮)