কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য হলো অন্যের সম্মানহানি প্রতিরোধে এগিয়ে আসা

প্রকৃত ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য হলো নিজে থেকে কারো সম্মানে আঘাত না করা, আর কেউ যদি তার সামনে অন্যের সম্মানহানি করে তাহলে যথাসাধ্য তা রুখে দেওয়া। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তির রক্ত (জীবন), ধন-সম্পদ ও মান-সম্মান অন্য মুসলিমের জন্য হারাম।(মুসলিম, হাদিস : ৬৭০৬)

মানুষকে হেয় করা সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ। কাউকে তুচ্ছজ্ঞান করা হারাম। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, একজন মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমের সম্পদ, সম্মান ও জীবনে হস্তক্ষেপ করা হারাম। কোনো ব্যক্তির নিকৃষ্ট প্রমাণিত হওয়ার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে সে তার মুসলিম ভাইকে তুচ্ছ মনে করবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৮২)

এক মুমিনের ওপর অন্য মুমিনের হক হলো, যেখানে তার সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার দরকার, সেখানে তাকে সাহায্য করা এবং তাকে হেয় প্রতিপন্ন না করা। মহানবী (সা.) বলেন, এক মুসলিম অন্য মুসলিমের ভাই; সে তার প্রতি জুলুম করবে না, তাকে অপমান করবে না এবং তাকে তুচ্ছজ্ঞান করবে না।(বুখারি, হাদিস : ৬৫৫১)

হাদিসের ভাষ্য মতে, কাউকে সম্মানহানি থেকে বাঁচালে কিয়ামতের দিন জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচা যাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি অন্য মুসলিমের মান-ইজ্জত নষ্ট হওয়ার স্থানে তাকে ত্যাগ করে, আল্লাহ তাকে এমন স্থানে সাহায্য করা থেকে বিমুখ থাকবেন, যেখানে সে তাঁর সাহায্য কামনা করে। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের মান-ইজ্জত নষ্ট হওয়ার স্থানে তাকে সাহায্য করে, আল্লাহ তাকে এমন স্থানে সাহায্য করবেন, যেখানে সে তাঁর সাহায্য প্রত্যাশা করে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৮৪)

অন্য হাদিসে এসেছে, নবী করিম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের মান-সম্মান নষ্ট করা থেকে নিজে বিরত থাকবে বা কাউকে বিরত রাখবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকবেন।(তিরমিজি, হাদিস : ১৯৩১)