যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

আল্লাহর জিকিরই মানসিক প্রশান্তির উপায়

নানা কারণে হয়রানি ও পেরেশানিতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে যায়। মন-মানসিকতা ও হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত হয়। এসব থেকে মানসিক প্রশান্তির জন্য কত উপায়ই না খুঁজে মানুষ। মানসিক প্রশান্তির জন্য এ মুহূর্তে করণীয় বা উপায় কী? এ সম্পর্কে কোরআনের দিকনির্দেশনাই বা কী?

দুনিয়াতে আল্লাহর দেওয়া বিশাল নেয়ামতের মধ্যে মানুষ প্রতিটি মুহূর্ত অতিবাহিত করলেও পাচ্ছে না মানসিক প্রশান্তি। প্রতিটি মুহূর্ত বিনা হিসেবে ইচ্ছে মতো অনায়াসে পার করছে। এ মানুষগুলো দুনিয়ায় প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় নানান কোলাহলে ব্যস্ত থাকলেও মানসিক প্রশান্তির উপায় অনুসরণ করছে না।

কী আশ্চর্য! একান্তে কিছু সময় আল্লাহকে স্মরণ করবে; এ উপলব্ধি তাদের অকৃতজ্ঞ অন্তরে জেগে ওঠে না। মানুষ কি ভুলে গেছে! জিকিরে আত্মা প্রশান্তি পায়। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে লক্ষ্য করে বলেছেন-

اَلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ تَطۡمَئِنُّ قُلُوۡبُهُمۡ بِذِکۡرِ اللّٰهِ ؕ اَلَا بِذِکۡرِ اللّٰهِ تَطۡمَئِنُّ الۡقُلُوۡبُ যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে জেনে রাখ আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্তি পায়। (সুরা রাদ : আয়াত ২৮)

মানুষের মান বা অন্তর হচ্ছে ছোট্ট একটি অবুঝ শিশুর মতো; যে আধো আধো কথা বলে। বাবার কোল, মায়ের কোলই শিশুর যত প্রশান্তি। কেউ যখন তাকে বাবা কিংবা মায়ের কোল থেকে সরিয়ে নেয়, তখনই সে কান্না জুড়ে দেয়। এই কান্না ফিরে যাওয়ার। এই কান্নায় থাকে চাপা কষ্ট, বুকভরা বেদনা, নীড়ে ফেরার তীব্র আকাঙ্খা। বারবার ফুঁপিয়ে উঠে সে।

অন্তরের ব্যাপারটিও একদম একই রকম। যখন আল্লাহকে ছেড়ে মানুষ গাইরুল্লাহর দিকে অন্তরকে ধাবিত করে তখন তার মন ছটফট করতে শুরু করে। অস্থিরতা যেন কমতেই চায় না। আল্লাহর কাছে ফিরে গেলেই যেন সে বাঁচে। আল্লাহর কাছে ফিরে যাওয়া তাকে স্মরণ করাই প্রকৃত প্রশান্তি।

তাইতো মহান রবের কাছে একমাত্র চাওয়া, প্রশান্ত হৃদয় দাও প্রভু। অন্তর থেকে গাইরুল্লাহকে সরিয়ে দাও প্রভু। চূড়ান্ত প্রশান্তি পেতে জিকিরে জিকিরে সিক্ত করে দাও এ হৃদয়। আমিন।