যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

শিশুকে বুকের দুধ পান করালে কি অজু ভেঙে যায়?

শিশুকে বুকের দুধ পান করানো অজু ভঙ্গের কারণ নয়। তাই কোরআন স্পর্শ করে তিলাওয়াতের সময়ও প্রয়োজনে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে। অজু থাকা অবস্থায় শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পর অজু না করে কোরআন স্পর্শ করা যাবে এবং নামাজও আদায় করা যাবে।শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মায়ের বুকের দুধে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ ও রোগের প্রতিষেধক রয়েছে যা তার সুস্থতা ও বৃদ্ধিতে সহায়ক। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, মায়েরা সন্তানদের পূর্ণ দুবছর দুধ পান করাবে, যারা দুধ পান করাবার সময় পূর্ণ করতে চায়। আর বাবার কর্তব্য বিধি মোতাবেক তাদের খাবার ও পোশাক প্রদান করা। কোনো ব্যক্তিকে সাধ্যের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয় না। কোন মাকে বা বাবাকে সন্তানের জন্য কষ্ট দেওয়া যাবে না। ওয়ারিশের ওপরও রয়েছে অনুরূপ দায়িত্ব। তারপর তারা যদি পরস্পর সম্মতি ও পরামর্শের মাধ্যমে দুধ ছাড়াতে চায়, তাহলে তাদের কোনো পাপ হবে না। আর যদি তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে অন্য কারো থেকে দুধ পান করাতে চাও, তাহলেও তোমাদের কোনো পাপ নেই, যদি তোমরা বিধি মোতাবেক তাদেরকে যা দেওয়ার তা দিয়ে দাও। আল্লাহকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ তা পত্যক্ষ করেন। (সুরা বাকারা: ২৩৩)

শিশুর জন্য দুধপানের গুরুত্ব বিবেচনা করে ইসলামি শরিয়তে স্তন্যদানকারী মায়েদের রমজানের ফরজ রোজা রাখার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। রোজা রাখার কারণে শিশু দুধ না পেলে মায়েরা তখন রোজা ভেঙে পরবর্তীতে কাজা করতে পারেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ মুসাফিরের ওপর থেকে চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজের অর্ধেক রহিত করে দিয়েছেন এবং মুসাফির, স্তন্যদানকারিণী ও গর্ভবতী নারীদের থেকে রমজানের রোজা পালন করার বাধ্যবাধকতাও শিথিল করে দিয়েছেন। (সুনানে তিরমিজি, সুনানে আবু দাউদ)

যেসব কারণে অজু ভেঙে যায়

১. পেশাব ও পায়খানার রাস্তা দিয়ে পেশাব, পায়খানা, বাতাস, ক্রিমি ইত্যাদিসহ যে কোনো কিছু বের হলে অজু ভেঙে যায়।

২. শরীরে যে কোনো জায়গা থেকে রক্ত বা পুঁজ বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে অজু ভেঙে যায়।

৩. খাবার, পানি, রক্ত বা পিতের পানি মুখ ভরে বমি হলে অজু ভেঙে যাবে। অল্প অল্প করে কয়েক বার যদি বমি হয় এবং সবগুলোর মিলিত পরিমাণ যদি মুখ ভরে কৃত বমির সমান হয়, তাহলেও অজু ভেঙে যায়।

৪. দাঁত বা মাড়ি থেকে অল্প রক্ত বের হলে অজু ভাঙবে না। কিন্তু যদি বেশি রক্ত বের হয়, থুথু ফেললে যদি দেখা যায় থুথুর চেয়ে রক্তের পরিমাণ বেশি, তাহলে অজু ভেঙে যায়।

৫. যৌনাঙ্গ থেকে মযী (অর্থাৎ যৌন উত্তেজনার সময় বীর্য বের হওয়ার আগে সাধারণত যা নির্গত হয়) বের হলে অজু ভেঙে যায়।

৬. নারীদের যৌনাঙ্গ থেকে ইস্তেহাযার রক্ত বের হলে অজু ভেঙে যায়। (হায়েয নেফাস ছাড়া কোনো অসুস্থতার কারণে নারীদের যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত বের হলে তাকে ইস্তেহাযা বলা হয়।)

৭. নারীদের স্তন থেকে দুধ ছাড়া অন্য কিছু যেমন রক্ত, পূজ বা শরীরের রস বের হলে অজু ভেঙে যায়।

৮. নারীরা নিজেদের যৌনাঙ্গে আঙুল প্রবেশ করালে অজু ভেঙে যায়।