যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

ফরজ নামাজের পর যে আমলের বিনিময় শুধুই জান্নাত

আয়াতুল কুরসি। কুরআনুল কারিমের মর্যাদাপূর্ণ আয়াত। এ আয়াতের অনেক ফজিলত হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে। তবে ফরজ নামাজের পর রয়েছে এ আয়াতের নিয়মিত আমল। যা মানুষকে জান্নাতে পৌঁছাতে মৃত্যুই শুধু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর কুরআনুল কারিমের মর্যাদাপূর্ণ আয়াত আয়াতুল কুরসি; পাঠ করা সুন্নাত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়মিত এ আমল করতেন।আয়াতুল কুরসিতে তাওহিদের শ্রেষ্ঠ ঘোষণাগুলো তেলাওয়াত করা হয়। আর এতেই এর তেলাওয়াতকারীর মর্যাদা আল্লাহর কাছে অনেক বেশি। সে কারণেই যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ে, ওই ব্যক্তি ও জান্নাতের মাঝে এতোটুকু দূরত্ব থাকে যে, সে যেন শুধুমাত্র মৃত্যুবরণ করেনি বলেই (কবরে) জান্নাতের নেয়ামতগুলো উপভোগ করতে পারছে না। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আবু উমামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে কেউ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করে; তার মৃত্যুই তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য বাধা হয়ে থাকে। (নাসাঈ, ইবনু হিব্বান, বুলুগুল মারাম)

যদিও ইমাম তাবারানি তার বর্ণননায় (এ সুরাটি) বাড়িয়েছেন। তাহলো-কুল হুয়াল্লাহু আহাদ।; (বুলুগুল মারাম)

উচ্চারণ ও অর্থসহ আয়াতুল কুরসি اللّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ উচ্চারণ-আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তাঅ খুযুহু সিনাতুঁও ওয়া লা নাওম। লাহু মা ফিস্ সামাওয়াতি ওয়া মা ফিল আরদ্বি। মাং জাল্লাজি ইয়াশফাউ ইংদাহু ইল্লা বি-ইজনিহি। ইয়ালামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়া মা খালফাহুম, ওয়া লা ইউহিতুনা বিশাইয়্যিম্ মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শাআ ওয়াসিআ কুরসিইয়্যুহুস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, ওয়া লা ইয়াউদুহু হিফজুহুমা ওয়া হুওয়াল আলিয়্যুল আজিম। (উচ্চারণটি কোনো কুরআন বিশেষজ্ঞের কাছে বিশুদ্ধভাবে পড়ে নেয়া জরুরি)

অর্থ :<(তিনিই) আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং ঘুমও নয়। সবই তাঁর, আসমান ও জমিনের মধ্যে যা কিছু রয়েছে। কে আছ এমন- যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? (চোখের সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানের সীমা থেকে কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টিত করতে পারবে না, কিন্তু হ্যাঁ তিনি যতটুকু ইচ্ছা করেন তা ছাড়া। সমগ্র আসমান এবং জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে তাঁর সিংহাসন। আর সেগুলোকে ধারণ (নিয়ন্ত্রণ) করা তাঁর জন্য কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর সুন্নাতের অনুসরণে নিয়মিত আয়াতুল কুরসির আমল করা। হাদিসে ঘোষিত ফজিলত ও বৈশিষ্ট্যগুলো অর্জনের চেষ্টা করা।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আয়াতুল কুরসির নিয়মত আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।