ইবাদত পালনকারীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত মসজিদে নববীমৃত বাবা-মাকে স্বপ্নে দেখলে যা করবেনযেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যক
No icon

আল্লাহভীতির যে সুফল পৃথিবীতেই মেলে

মুমিনের হৃদয়ে অমূল্য সম্পদ তাকওয়া বা আল্লাহভীতি। তাকওয়াপূর্ণ জীবন মুমিনের সাফল্যের সোপান। তাকওয়ার অনুপস্থিতি বহু পাপের জন্ম দেয়। তাই এর সুফল শুধু পরকালীন জীবনেই পাওয়া যায় না, পার্থিব জীবনেও এর বহুবিধ কল্যাণ নিহিত আছে।

এখানে কয়েকটি সুফল তুলে ধরা হলো :

১. মুমিনের কাজ সহজ করে : তাকওয়া মুমিনের কাজ সহজ করে। ফলে তার পুণ্যের কাজে জটিলতা দেখা দেয় না। নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি ইবাদত যথাযথ আদায় করা সহজ হয়ে যায়। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলাকে ভয় করবে, আল্লাহ তাআলা তার কাজ সহজ করে দেবেন। (সুরা : তালাক, আয়াত : ৪)

২. শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা করে : তাকওয়া মুমিনকে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও অনিষ্ট থেকে বাঁচিয়ে রাখে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয়ই মুত্তাকিদেরকে শয়তান স্পর্শ করলে (কুমন্ত্রণা দিলে) তারা আল্লাহকে স্মরণ করে। তাদের দৃষ্টি তখনই খুলে যায়।

(সুরা : আরাফ, আয়াত : ২০১)

৩. জীবনে সচ্ছলতা আনে : মুত্তাকি ব্যক্তি সর্বদা আল্লাহ তাআলার ওপর ভরসা রাখেন। সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে আস্থা থাকে আল্লাহ তাআলার ওপর। এ জন্য মহান আল্লাহ তাকে কোনো এক সময় সচ্ছলতা দান করেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার জন্য রিজিকের পথ (কর্মসংস্থান) বের করে দেবেন এবং তাকে অপ্রত্যাশিত নিয়ামত দান করবেন।

(সুরা : তালাক, আয়াত : ২-৩)

৪. আল্লাহর নৈকট্য দান : তাকওয়া মুমিনকে দুনিয়ায় আল্লাহর ওলি বানিয়ে দেয়। মুমিন তাকওয়ার সজ্জায় জীবন সাজালে প্রভুর আনুগত্যের পূর্ণ সীমায় পৌঁছে যায়। তখন সে আল্লাহর প্রিয় হয়ে যায়। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, একমাত্র মুত্তাকিরাই আল্লাহর ওলি। (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৩৪)

৫. আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ : তাকওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর অনুগ্রহ অর্জন করা সহজ হয়। কেননা মুত্তাকিরা আল্লাহর প্রিয়জন। ইরশাদ হয়েছে, আমার অনুকম্পা সবকিছুকেই বেষ্টন করে আছে। সুতরাং অচিরেই আমি তা মুত্তাকি, জাকাত আদায়কারী ও আমার নিদর্শনে বিশ্বাসীদের জন্য লিখে দেব। (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৫৬)

৬. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন : তাকওয়া আল্লাহ তাআলার বরকত কাছে নিয়ে আসে। মুমিন মুত্তাকি বান্দা অল্পতে সন্তুষ্ট থাকেন। এ জন্য আল্লাহ তাআলা সেই অল্পতেই অনেক কল্যাণ দান করেন। ইরশাদ হয়েছে, যদি গ্রামবাসী আল্লাহর প্রতি ঈমান আনত এবং তাকওয়া অর্জন করত, আমি তাদের জন্য আসমান ও জমিনের বরকতের দ্বার খুলে দিতাম।

(সুরা : আরাফ, আয়াত : ৯৬)

আল্লাহ সবাইকে আল্লাহভীতির জীবন দান করেন। আমিন।