কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

ছোট যে তিন সুরা নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে খুবাইব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমরা এক বৃষ্টির রাতে প্রচন্ড অন্ধকারে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খোঁজে বের হলাম। যেন তিনি আমাদের নিয়ে নামাজ আদায় করেন। আমরা তাকে খুঁজে পেলাম। তিনি বললেন, বলো। আমি কিছু বললাম না। তিনি আবার বললেন, বলো। আমি কিছু বললাম না। তিনি আবারও বললেন, বলো। আমি বললাম, কী বলব?

তিনি বললেন, তুমি সন্ধ্যায় ও সকালে তিনবার করে পড়বে- قُلْ هُوَ اللَّهُ أحَدٌ (সুরা ইখলাস) এবং মুয়াওয়িযাতাইন (সুরা ফালাক ও সুরা নাস)। তাহলে এটি সব (ক্ষতিকর) বস্তু থেকে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। (তিরমিজি, আবু দাউদ)

ছোট ছোট তিনটি সুরা। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সকাল-সন্ধ্যায় আমল করতেন। তাঁর সঙ্গীদের আমল করার তাগিদ দিতেন। যেন দুনিয়ার যাবতীয় ক্ষতিকর সব জিনিস থেকে হেফাজত থাকেন। এটি একটি সুন্নাত আমল। যা মানুষকে সব ক্ষতি থেকে হেফাজত করবে। হাদিসের একাধিক বর্ণনা থেকে আরও প্রমাণিত যে-

১. হজরত উকবা ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমাকে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক (ফরজ) নামাজের পর তিন কুল (এই তিন সুরা) পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।(আবু দাউদ)

২. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিরাতে যখন বিছানায় যেতেন; তখন (মোনাজাতের সময় হাত তোলার মতো করে) দুই হাত মেলাতেন । এরপর হাতের উপর- قُلْ هُوَ الله أحد (সুরা ইখলাস), قل أعوذ برب الفلق (সুরা ফালাক) ও قل أعُوذُ بِرَبّ الناس (সুরা নাস) পাঠ করতেন। এরপর হাতে ফুঁ দিতেন। এরপর দুই হাত দিয়ে শরীরের যতটুকু অংশে সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। মাথা, চেহারা এবং শরীরের উপরের ভাগ থেকে শুরু করতেন। এভাবে (পুর্ণ কাজটি) তিনি তিনবার করতেন। (মুসনাদে আহমাদ, বুখারি)

৩. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা আরও বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন অসুস্থ হতেন, তখন তিন কুল পড়ে (হাতে) ফুঁ দিতেন এবং (নিজের শরীরে) হাত বুলাতেন। যখন তিনি অন্তিম শয্যায় শায়িত ছিলেন, তখন আমি তিন কুল পড়ে ফুঁ দিতাম এবং তার হাতে হাত বুলাতাম। (বুখারি)

মুমিন মুসলমানের উচিত, সুন্নাতের অনুসরণে সকাল-সন্ধ্যায় তিন কুল পড়ে আমল করা। যাবতীয় ক্ষতি ও অনিষ্টতা থেকে হেফাজত থাকা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তিন কুলের যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।