অজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর
No icon

ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন ও ভালোবাসা ঈমানের দাবি

বরকতময় ও পূণ্যভূমি হিসেবে স্বীকৃত মজলুম জনপদ ফিলিস্তিন। কুরআনুল কারিমের ৫ স্থানে ফিলিস্তিনকে বরকতময় ও পূণ্যভূমি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সে কারণে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন ও ভালোবাসা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের একান্ত দাবি।দখলদার ইসরাইল ইয়াহুদি গোষ্ঠীর নির্মম অত্যাচার-নির্যাতন ও বোমা-বারূদে মজলুম জনপদ ফিলিস্তিনের বাতাস ভারি হয়ে ওঠেছে। শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ নারী-পুরুষ মরছে। ধ্বংস হচ্ছে দেশটির মুসলমানদের আশ্রয়স্থল। ধ্বংসের পথে মুসলমানদের কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাস।অথচ ফিলিস্তিন ও বায়তুল মুকাদ্দাস রক্ষা করা শধু মুসলিমদের জন্যই নয় বরং যারা নিজেদের আসমানি কিতাবের অনুসারী (ইয়াহুদি ও খ্রিস্টান) বলে দাবি করছে তাদের একান্ত নৈতিক দায়িত্ব। দখলদার ইসরাইলি ইয়াহুদিরা যেন তা বেমালম ভুলে গেছে।

দলমত নির্বিশেষে বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহ ফিলিস্তিন, জেরুজালেম এবং বায়তুল মুকাদ্দাস ইস্যুতে একমত। এ পবিত্র স্থানগুলোর অবস্থান মর্যাদা ও সম্মানের। ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র, জেরুজালেম ভূখণ্ড, বায়তুল মুকাদ্দাস সংরক্ষণ ও পরিপূর্ণ রক্ষা করা মুসলিম উম্মাহর ওপর আবশ্যক। কারণ কুরআনুল কারিমের এ অঞ্চলের আলোচনা এবং বরকত ও মর্যাদার ঘোষণাই এর প্রমাণ।

ফিলিস্তিন, জেরুজালে ও মসজিদে আকসা সম্পর্কে কুরআন-সুন্নায় যে আলোচনা হয়েছে; তাহলো-

১. প্রিয় নবির স্মৃতি বিজড়িত বরকতময় বায়তুল মুকাদ্দাস

পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তার বান্দাকে রাত্রে ভ্রমণ করিয়েছিলেন আল-মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।& (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ১)

 

২. সাইয়্যেদুল মুরসালিন উপাধি লাভ> মেরাজের রাত তথা জেরুজালেমে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে রাতের ভ্রমণের মাধ্যমে বিশ্বনবি উর্ধ্বাকাশে আল্লাহর সান্নিধ্য পান। উর্ধ্বাকাশে ভ্রমণের আগে বায়তুল মুকাদ্দাসে তিনি সব নবির নামাজের ইমামতি করেন। তারপর তিনি এখান থেকে ঊর্ধ্ব আকাশে ভ্রমণ করেন। সব নবির ইমামতির মাধ্যমে তিনে হয়ে ওঠেন সাইয়্যেদুল মুরসালিন তথা রাসুলদের নেতা।

 

এ পবিত্র নগরীর গুরুত্ব ও বরকতের কারণে আল্লাহ তাআলা অসংখ্য নবি-রাসুলদের আবাসভূমি ও সমাধিস্থল থেকেই বিশ্বনবির মেরাজ তথা উর্ধ্বগমনের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। যদি তা না থাকতো তবে আল্লাহ তাআলা চাইলে বিশ্বনবিকে পবিত্র নগরী মক্কা থেকেই উর্ধ্বাকাশের ডেকে নিতে পারতেন।

৩. মুসলিম উম্মাহর প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাস।

ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে অবস্থিত। মুসলমানদের প্রথম কেবলা। যার দিকে ফিরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দীর্ঘ ১০ বছর নামাজ আদায় করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন- তুমি যেখান থেকে বাহির হওনা কেন মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফেরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক না কেন ওর দিকে মুখ ফেরাবে। (সুরা বাকারা : আয়াত ১৫০)

৪. কুরআনের ঘোষণায় বরকতময় ভূখণ্ড

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের ৫ স্থানে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডকে বরকতময় ও পূণ্যময় বলে উল্লেখ করেছেন। তাহলো-
সুরা বনি ইসরাইলের প্রথম আয়াতে মেরাজের ঘটনা ও বরকতের কথা এভাবে এসেছে-
পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তার বান্দাকে রাত্রে ভ্রমণ করিয়েছিলেন আল-মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার পরিবেশ আমি করেছিলাম বরকতময়, তাকে আমার নিদর্শন দেখানোর জন্য; তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ১)