গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশ। কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা থেকেই তা প্রমাণিত। হাদিসে গোনাহের এমন কিছু মারাত্মক ক্ষতির কথা ওঠে এসেছে; চাইলেও কোনো গোনাহগার দুনিয়াতে এর প্রতিকার করতে পারবে না। গোনাহের সেই ক্ষতিগুলো কী?
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই গোনাহের কাজ করলে-
১. চেহারা কুৎসিত হয়।
২. অন্তর অন্ধকার হয়।
৩. রিজিকের মধ্যে সংকীর্ণতা দেখা দেয়।
৪. মানুষের অন্তরে তার প্রতি ঘৃণা ভাব জম্মায়।
৫. ফলে তাকে কেউ ভালো দৃষ্টিতে দেখে না।
মুসনাদে আহমাদে বর্নিত একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মর্মে সতর্ক করেন যে, বান্দাহ গোনাহ করার দ্বারা রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়।অন্য বর্ণনায় আরও এসেছে, গোনাহের কারণে হায়াত (আয়ু) কমে যায় এবং জীবনের বারাকাত শেষ হয়ে যায়। গোনাহ এবং পাপাচার শুধু মানুষের দেহকে দুর্বল করে না বরং সাথে সাথে অন্তরকেও দুর্বল করে দেয়। আর অন্তর যেহেতু শরীরের অধীনে এই জন্য শরীরের প্রভাব অন্তরের ওপরও পড়ে ফলে গোনাহগার ব্যক্তি দুনিয়া এবং পরকালে চরমভাবে বিপদগ্রস্থ হয়।তাই উম্মতে মুহাম্মাদির উচিৎ গোনাহমুক্ত জীবন গড়া। ব্যক্তি পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সংযমী হওয়া। নিজে গোনাহ থেকে বাঁচা এবং পরিবার পরিজনকে গোনাহ থেকে বাঁচানো।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। গোনাহের ক্ষতি থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।