রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়াতে যে সব নারী ও পুরুষদের জান্নাতি বা জাহান্নামী বলে ঘোষণা করেছেন বা যারা দুনিয়াতে জীবিত থাকতেই জান্নাতলাভের সু-সংবাদ অথবা জাহান্নামের দুঃসংবাদ পেয়েছেন এ নিবন্ধে আমরা তাদের নাম দলিল-প্রমাণ সহকারে উল্লেখ করতে চেষ্টা করব। একটি হাদিসে একত্রে দশজন সাহাবীর কথা উল্লেখ করে তাদের জান্নাতি বলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা দিয়েছেন। অনেকে মনে করেন, দুনিয়াতে কেবল এ দশজন সাহাবীকেই জান্নাতের সু-সংবাদ দেয়া হয়েছে আর কাউকে জান্নাতের সু-সংবাদ দেয়া হয়নি। কিন্তু না, এ দশজনের বাহিরেও আরও কতক পুরুষ ও নারী সাহাবী আছেন, যাদের আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন না কোন কারণে দুনিয়াতে জান্নাতের সু-সংবাদ দিয়েছেন। তিনি তাদের কাউকে জান্নাতি, জান্নাতের সরদার, জান্নাতের বয়স্ক লোকদের সরদার ইত্যাদি বলে ঘোষণা করছেন। নিম্নে আমরা দুনিয়াতে যাদেরকে জান্নাতের সু-সংবাদ এবং জাহান্নামের দুঃসংবাদ দেয়া হয়েছে, এমন পুরুষ ও নারীদের বিষয়ে একটি আলোচনা দলীল-প্রমাণ সহকারে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আল্লাহই তাওফিক দাতা।
এখানে একটি বিষয় খুবই জরুরী যে, যাদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জান্নাতী বলে ঘোষণা করেছেন, তাদের মধ্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো কোনো সিফাত, কুরবানী ও গুরুত্বপূর্ণ আমল প্রত্যক্ষ্য করেছেন বলেই তাদের বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন প্রেক্ষপটে এ ধরনের ঘোষণা দিয়েছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার আমল, কুরবানী ও ত্যাগের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তাকে বলেছেন যে লোকটি জান্নাতী। এ ধরনের ঘোষণা প্রেক্ষাপটে আমাদের করনীয় হল, যে গুণ, আমল, কুরবানী ও ত্যাগের কারণে লোকটি জান্নাতী হল বা রাসূল তাকে জান্নাতী বলে সু-সংবাদ ও ঘোষণা দিলেন, সে আমল, কুরবানী ও গুণে গুণান্বিত হয়ে আমিও রাসূলের সু-সংবাদের আওতাভুক্ত হতে পারি। আমার জন্যও জান্নাত অবধারিত হতে পারে। কারণ, আমল করার কারণে একজন জান্নাতী হয়, সে আমল যদি উম্মতের কোন লোক করে থাকে তাহলে অবশ্যই সেও জান্নাতী হবে।
চলবে.........