আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে ইলমআগামীকাল রবিবার ভোরে বাংলাদেশ থেকে হজযাত্রী নিয়ে এ বছর প্রথম ফ্লাইটটি উড়বেবাকশক্তি আল্লাহ প্রদত্ত এক বিশেষ নিয়ামত২০২৪ সালে মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী মারাকেশএকজন হজযাত্রী ১২০০ ডলার সঙ্গে নিতে পারবেন
No icon

পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা আজ

আজ বুধবার পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা। মহানবী (সা.)-এর রোগমুক্তি দিবস। প্রতিবছর হিজরি সালের সফর মাসের শেষ বুধবার মুসলিম বিশ্বে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ স্মারক দিবস হিসেবে পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে বাদ জোহর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ হযরত মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক আল আযহারীর। সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান সরকার।


জানা গেছে, ২৩ হিজরির শুরুতে মহানবী (সা.) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ইমামতি পর্যন্ত করতে পারছিলেন না তিনি। ২৮ সফর মহানবী (সা.) সুস্থ হয়ে ওঠেন। দিনটি ছিল সফর মাসের শেষ বুধবার। ওই দিন শেষবারের মতো গোসল করে নামাজে ইমামতি করেন তিনি। তার সুস্থতার খবরে সাহাবিরা উচ্ছ্বসিত হয়ে হাজার হাজার স্বর্ণমুদ্রা, বহু উট ও দুম্বা দান করেন। তবে পরদিন আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন মহানবী (সা.)।

ফারসিতে দিনটিকে আখেরি চাহার সোম্বা নামে অভিহিত করা হয়। ফারসি শব্দমালা আখেরি চাহার সোম্বা অর্থ শেষ চতুর্থ বুধবার। মহানবী (সা.) জীবনে শেষবারের মতো রোগমুক্তি লাভ করেন বলে দিনটিকে মুসলমানরা প্রতিবছর ‘শুকরিয়া দিবস’ হিসেবেও উদযাপন করে। তারা নফল ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে দিবসটি অতিবাহিত করে। তাই উম্মতে মুহাম্মদির আধ্যাত্মিক জীবনে আখেরি চাহার সোম্বার গুরুত্ব ও মহিমা অপরিসীম।