কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

উপাস্যের উদ্দেশ্যে রজবের দশ তারিখে পশু জবাই

কোন কোন আলেম রজব মাসে পশু জবাই মোস্তাহাব বর্ণনা করেছেন-প্রমাণ হিসেবে তারা উপস্থাপন করেন মাখনাফ বিন সালিম রা:-এর হাদিস। মাখনাফ বিন সালিম রা: বলেন, আমরা রাসূলের সাথে আরাফার মাঠে অবস্থান করছিলাম, আমি শুনলাম তিনি বলেছেন-প্রতিটি বাড়ির অধিকারীদের উপর প্রতি বছর কোরবানি ও রজব মাসের আতীরা কর্তব্য। তোমরা কি অবগত আতীরা কি ? তা হল যাকে তোমরা রজবিয়া বল (অর্থাৎ রজবে জবেহ করার পশু)। আহমদ ৫/৭৬। ইমাম তিরমিজি বলেন-হাদিসটি হাসান ও গরিব। আমরা হাদিসে ইবনে আউনের সূত্র ব্যতীত ভিন্ন কোন সূত্রে হাদিসটি পাই না। মুহাদ্দিস ইবনে হাযম ও আব্দুল হক একে দুর্বল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ইবনে কাসীর বলেন-হাদিসটি সনদের ব্যাপারে নানা সংশয় রয়েছে।
অধিকাংশ বিজ্ঞজনের মত এই যে, হাদিসটি মনসূখ (রহিত)। আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল বলেছেন- لا فرع ولا عتيرة অর্থাৎ ইসলামে ফারা আতীরার অস্তিত্ব নেই। (বোখারি ৪৭৪৫)
হাদিসটির ব্যাখ্যায় আবু দাউদ বলেন, কেউ কেউ বলেন-ফারা বলা হয় উটের প্রথম ভূমিষ্ঠ বাচ্চাকে, প্রাচীন আমলে লোকেরা তাদের উপাস্য তাগুতের জন্য একে বলি দিত। অত:পর তার মাংস খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করত, চামড়া ঝুলিয়ে রাখত গাছের ডালে। আতীরা বলা হয় রজবের দশ তারিখে উপাস্যের উদ্দেশ্যে যে পশু বলি দেওয়া হয়, তা। (আস সুনান ৩/১০৪)
ইবনে সীরীন, আবু উবাইদ ও ইসহাক বিন রাহওয়াই প্রমুখ আলেমের মত এই যে, হাদিসটিকে মানসূখ (রহিত) হিসেবে গ্রহণ করাই ওয়াজিব বা আবশ্যক।