মিসরের বিশ্ববিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক রিসার্চ একাডেমি ঘোষিত সাকাফাতু বিলাদি শীর্ষক এ প্রতিযোগিতার বিভিন্ন বিভাগে চার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বিজয়ী হন। মিসরীয় ও বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণে কয়েক ধাপে যাচাই-বাছাইয়ের পর বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়। মিসরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আল-আজহারের সব শাখার সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়।
এতে পাবনার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও ময়মনসিংহের মুহাম্মদ মারুফ প্রথম হয়ে ২৫ হাজার মিসরীয় পাউন্ড পুরস্কার পেয়েছেন। তৃতীয় বিজয়ী মুন্সীগঞ্জের মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ১০ হাজার পাউন্ড ও পঞ্চম বিজয়ী সাবির আহমেদ গোফরান পাঁচ হাজার পাউন্ড পেয়েছেন।
মিসরীয় সংবাদমাধ্যম আল-ওয়াতান সূত্রে জানা যায়, মোট ১০টি বিষয়ে সাকাফাতু বিলাদি শীর্ষক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। জ্ঞানমূলক প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীকে দুটি দেশের সংস্কৃতি, আচার-রীতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে হয়। দক্ষতামূলক প্রতিযোগিতায় ভাষাগত দক্ষতা, অঙ্কন ও ফটোগ্রাফি, কম্পিউটার ও ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে হয়। তা ছাড়া বিজ্ঞানবিষয়ক প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন বিষয় অধ্যয়ন করতে হয় এবং এর অস্পষ্ট বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করার দক্ষতা থাকতে হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিযোগিতায় মিসর ও অন্য কোনো দেশের পর্যটন, প্রত্নতত্ত্ব ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থান সম্পর্কে তাত্ত্বিক জ্ঞান রাখতে হয়। প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষার্থীকে ভিডিওগ্রাফি, ফটোশপ ও ইলেকট্রনিক পেপার সংক্রান্ত বিষয়গুলো আত্মস্থ থাকতে হয়।
ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের উপ-মহাসচিব ড. ইলহাম শাহিন জানান,প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য রয়েছে মোট তিন লাখ ৭০ হাজার মিসরীয় পাউন্ড। এর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জনকারী পাঁচজন পেয়েছেন ২৫ হাজার মিসরীয় পাউন্ড, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী পাঁচজন পেয়েছেন ২০ হাজার পাউন্ড, তৃতীয় স্থান অর্জনকারী পাঁচজন পেয়েছেন ১০ হাজার পাউন্ড, চতুর্থ স্থান অর্জনকারী ১০ জন পেয়েছেন সাত হাজার পাউন্ড ও পঞ্চম স্থান অর্জনকারী পাঁচজন পেয়েছেন পাঁচ হাজার পাউন্ড। দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয় বিজয়ীদের জন্য কায়রো ও ফাইয়ুম জেলার ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের ব্যবস্থা রেখেছে। এ ছাড়া বিজয়ীদের জন্য গ্রন্থসমগ্রসহ নানা উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়।
ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাসচিব ড. নাজির আইয়াদ বলেন, অন্য দেশের মানুষকে মিশরীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করাই এ প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য। আল-আজহারের মিসরীয় শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন দেশ থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধন তৈরির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে।
সূত্র : আল-ওয়াতান