যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ আইন প্রণেতা : মার্কিন আদালত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধর্মীয় জনগোষ্ঠী হিসাবে মুসলিমরা তৃতীয় বৃহত্তম। দেশটির ইতিহাসের সঙ্গে ওৎপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে মুসলমানদের সুদীর্ঘ ইতিহাস। ইতিহাস বলছে, আড়াইশ’ বছর আগেই মার্কিন ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে ইসলাম। তবে মুসলমানদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের টানাপড়েনের সম্পর্কের ইতিহাসও সুদীর্ঘ। যা প্রকাশ্যে আসে নাইন ইলেভেন ঘটনার পর। যার ফলস্বরূপ দেশটিতে বাড়তে থাকে ইসলামোফোবিয়া। এমনকি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না দেওয়ারও পরিকল্পনা করেছিলেন, তার আমলে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে। সাউন্ড ভিসন, স্টেপ ফিডী

তবে এতো ঘটনার পরও দেশটিতে পূর্ণ সম্মানের স্থানেই অবস্থান করছেন ইসলাম ধর্মালম্বীদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের দেয়ালে খোদাই করা পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ আইন প্রণেতা হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ (সা.)। এই তালিকায় আরও আছেন প্রাচীন মিশরীয় শাসক মেনেস, নবী মুসা, হামুরাবি, কনফুসিয়াস, নেপোলিয়ন এবং জন মার্শাল-এর মতো ইতিহাস বিখ্যাত আইন প্রণেতারা।

পৃথিবীর ইতিহাসে আইন বিষয়ে বিশেষ অবদানের স্মরণে ১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে’ এ ১৮ ব্যক্তির প্রতিকৃতি বানানো হয় দেয়ালে। সেসময় দেশটিতে ফ্র্যাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট ছিলেন প্রেসিডেন্ট। চার্লস ইভান্স হিউজ ছিলেন প্রধান বিচারপতি। তবে সেসময়ে দেশটির রাষ্ট্রব্যবস্থা এখনকার মতো উদারপন্থী না হলেও কিভাবে এটি তারা সম্ভব করেছে, সে সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি দ্বারা অবশ্য একটি বিষয় স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্রের আইন ব্যবস্থা শুধু নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থার উপর গড়ে উঠেনি বরং ইসলামি সংস্কৃতি ও সমাজব্যবস্থার ধারক-বাহক মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শগত দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। হযরত মুহাম্মদ (সা.)এর প্রতিকৃতি স্থাপন বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হলেও, এটিকে খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি মুসলমানরা। কারণ ইসলাম ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, কোনো মানুষ বা প্রাণীর প্রতিকৃতি বানানো পুরোপুরি নিষিদ্ধ। 

পরবর্তীতে ২০০০ সালে, তাহা জাবের আল-আলওয়ানি, যিনি সেই সময়ে সৌদি আরবে আইনশাস্ত্রের অধ্যাপক এবং উত্তর আমেরিকার ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্স (ফিকহ) কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ওই প্রতিকৃতি সমর্থনে একটি ফতোয়া জারি করেছিলেন। যেখানে তিনি বলেন, যেহেতু এই ছবির দ্বারা মুসলমানদের অতীত ইতিহাস মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে, তাই এটিকে নিষিদ্ধ হিসেবে দেখা যাবে না বরং এটিকে তাদের (মুসলমান) সাধুবাদ  জানানো উচিৎ।