নিউ ইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের সদর দপ্তরে প্রথমবারের মতো আজান শোনা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সিটি কাউন্সিলের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এরিক অ্যাডামস আনুষ্ঠানিকভাবে জুমার নামাজ ও রমজান মাসের মাগরিবের নামাজে প্রকাশ্যে আজানের অনুমোদনের কথা জানান। এরপরই সভাস্থলে আজান দিয়েছেন নিউ ইয়র্ক সিটির ইসলামিক সেন্টারের ইমাম শায়খ আবদুল্লাহ সালিম।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা মুবাশিরকে ঐতিহাসিক মুহূর্তে আজান দেওয়ার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন শায়খ সালিম। তিনি বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের সদর দপ্তরের অভ্যন্তরে প্রথমবার আজান দিয়েছি। এমন মর্যাদাপূর্ণ কাজের সম্পাদনের অনুভূতি সত্যিই বর্ণনাতীত। মুসলিমদের এ সম্মান অর্জনে প্রথমত মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এরপর মুসলিম সর্বোচ্চ সহযোগিতার জন্য নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের প্রচেষ্টাকে সর্বোচ্চ সম্মান জানাচ্ছি। বর্তমান সিটি মেয়র দীর্ঘদিন যাবত এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন।’
মসজিদের আজান প্রসঙ্গে ইমাম সালিম আরো বলেছেন, ‘নিউইয়র্ক সিটির সব মসজিদে নিজস্ব মুয়াজ্জিন রয়েছে। তারা মসজিদের ভেতরের মাইক দিয়ে আজান দিয়ে থাকেন। মসজিদের বাইরে আজানের কিছুই শোনা যায় না। অবশ্য কিছু এলাকার অনেক পুরোনো মসজিদে মাইক দিয়ে আজান দেওয়া হয়; যার আওয়াজ বাইর থেকে শোনা যায়। সিটি কাউন্সিলের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে আজানে বাইরের মাইক ব্যবহার করা যাবে।’তিনি আরো জানান, আগে মাইক দিয়ে আজান দেওয়ার জন্য অনেক কাগজপত্রসহ সিটি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হতো। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব আবেদন অগ্রাহ্য হতো। বর্তমানে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। এখন সব মসজিদ আজানের অনুমোদন পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপলিসের পর নিউ ইয়র্ক সিটির মসজিদেও প্রকাশ্যে আজান দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে শহর কর্তপক্ষ। এখন থেকে প্রতি শুক্রবার জুমার আজান এবং রমজান মাসে মাগরিবের আজান প্রকাশ্যে দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে শহরটির কর্তৃপক্ষ। এ জন্য মসজিদগুলোকে শহর কর্তৃপক্ষের বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হবে না। স্থানীয় মুসলিম নেতা ও পুলিশ বিভাগের সহায়তায় আওয়াজের মাত্রা সীমিত পরিসরে নির্ধারণ করা হবে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ শহর মিনেসোটায় উচ্চৈঃস্বরে আজানের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে সেখানে শুধু সকাল ও সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে আজান দেওয়া যেত।
সূত্র : আলজাজিরা মুবাশির