গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলের বর্বরাচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও ধর্মবিষয়ক পরিচালনা পর্ষদের প্রধান শায়খ আবদুর রহমান আল-সুদাইস। গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলের এ হামলাকে ধর্মীয় মূল্যবোধ, মানবিক আচরণ ও আন্তর্জাতিক নীতিমালার ভয়াবহ লঙ্ঘণের শামিল বলে অভিহিত করেন। বিবৃতিতে আল-সুদাইস বলেন, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সাধারণ মানুষকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো আসমানি ধর্মগুলো অনুমোদন দেয় না। কারণ পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব আসমানি ধর্ম প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ ধরনের কার্যক্রম শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক মানবিক আচরণের পরিপন্থী। ইসরায়েলের এ ধরনের নৃসংশ হামলা মুসলিম জাতির অনুভূতিকে স্পষ্টভাবে উস্কানি দিচ্ছে। ইসলাম ধর্ম আমাদের মানবিক মূল্যবোধ অনুসরণের নির্দেশ দেয় যেখানে অন্যায়ভাবে প্রাণহানি, নিরাপত্তাপ্রত্যাশীদের ভয় দেখানো এবং নারী ও শিশুদের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ফেলা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, মূলত পৃথিবীতে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে ফিলিস্তিন জাতি ও এর নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর নৃশংস হামলা করা হচ্ছে।
পবিত্র কোরআরের সুরা বাকারার ২০ নং আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই তিনি বিশৃঙ্খলা পছন্দ করেন না। তা ছাড়া এ ধরনের কার্যক্রম শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার সব প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যানের শামিল। এম আচরণ কাজের হিসাব ও পরিণতি সম্পর্কে বেপরোয়া করে তুলে। অথচ আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ অত্যাচারীদের কাজকর্ম সম্পর্কে উদাসীন নন। বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিদের জন্য বিপদমুক্ত হওয়ার দোয়া করে বলা হয়, আমরা জাতির বিপদমুক্তি এবং আমাদের নিহত ফিলিস্তিনি ভাইদের ওপর অনুগ্রহের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করছি। এ ছাড়া মৃতদের শহীদের মর্যাদা, আহতদের সুস্থতা এবং শত্রুদের পরাজয়ের জন্য প্রার্থনা করা হয়।
শায়খ আবদুর রহমান আল-সুদাইস ফিলিস্তিন ইস্যুতে সৌদি আরবের দৃঢ় সমর্থনের কথা তুলে ধরে বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুর ন্যায্য নিষ্পত্তি, শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং সেখানকার অধিবাসীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব জোরালোভাবে কাজ করছে। বিশেষত অবরুদ্ধ গাজার চলমান পরিস্থির উন্নয়নে দেশটির নানামুখী কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।