যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

পবিত্র কাবা ঘরের রক্ষণাবেক্ষণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়

পবিত্র কাবা ঘরের পর্যায়ক্রমিক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর সৌদি আরবের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় তা সম্পন্ন হয়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি বিশেষজ্ঞ দল এসব দায়িত্ব পালন করে।

মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের ধর্মবিষয়ক পরিচালনা পর্ষদের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস বলেন, ‘পবিত্র কাবা ঘরকে সম্মান করা, তা পবিত্র রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। মুসলিমদের অন্তরে এই ঘরের আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ তা নামাজের কিবলা এবং হজ ও ওমরাহ পালনের স্থান। সৌদি আরবে বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে এই ঘরের পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সম্পন্ন হয়।’ তিনি আরো বলেন, মহান আল্লাহ কোরআন ও হাদিসে এ ঘরের পবিত্রতার কথা তুলে ধরেছেন। 

আল্লাহ বলেন, ‘আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈল (আ.)-কে নির্দেশ দিয়েছি, যেন তারা আমার ঘরকে পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও নামাজ আদায়কারীদের জন্য।’ (সুরা: বাকারাহ, আয়াত : ১২৫)।

তা ছাড়া রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, এই উম্মত যত দিন পবিত্র এই ঘরের সম্মান করবে, তত দিন পর্যন্ত তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে। আর যখন তারা তা বিনষ্ট করবে, তখন ধ্বংস হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১১০)

উল্লেখ্য, ১৪৩৮ হিজরি সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা শুরু থেকেই পবিত্র দুই মসজিদ গ্র্যান্ড মসজিদ ও মসজিদ-ই-নববী সম্প্রসারণের পুরো বিষয় তত্ত্বাবধান করছে। এর মাধ্যমে বৃহত্তম সৌদি সম্প্রসারণ, গ্র্যান্ড মসজিদ ও মাতাফের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প, মসজিদ-ই-নববীর তৃতীয় সৌদি সম্প্রসারণ প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে ১৪৪০ ও ১৪৪২ হিজরিতে এর তত্ত্বাবধানে পবিত্র কাবা ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়।

সূত্র : হারামাইন ডটকম