কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

প্রতিদিন পাঁচবার আজান শোনা যাবে মিনেসোটায়

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় উচ্চৈঃস্বরে আজানের অনুমোদন দিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রথমবারের মতো দেশটির সর্ববৃহৎ এই শহরে প্রতিদিন পাঁচবার আজানের ধ্বনি শোনা যাবে। মিনিয়াপলিস সিটি কাউন্সিলের সম্মতিতে শহরের শব্দ অধ্যাদেশে পরিবর্তন করে এই প্রস্তাবের অনুমোদন করা হয়। ফলে সকাল ও সন্ধ্যার আজানবিষয়ক বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হয়।

কাউন্সিল অব আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) মিনেসোটা শাখার পরিচালক জয়লানি হুসেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি আমাদের পুরো জাতির জন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা ও বহুত্ববাদের একটি ঐতিহাসিক বিজয়। এই মহত্ উদাহরণ স্থাপনের জন্য আমরা মিনিয়াপলিস সিটি কাউন্সিলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি আমরা অন্যান্য শহরকেও তা অনুসরণ করার অনুরোধ করছি।

পবিত্র রমজান মাসে মসজিদের উচ্চৈঃস্বরে আজান দেওয়ার প্রস্তাবনা বিষয়ে মিনিয়াপলিস সিটি কাউন্সিলের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। আগামী সোমবার (১৭ এপ্রিল) সিটি মেয়র তাতে স্বাক্ষর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। প্রস্তাবটি পাস হওয়ায় মুসলিম জনগোষ্ঠী আনন্দ ও উচ্ছ্বাস উদযাপন করে। মিনিয়াপলিসের আন-নুর মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ দুকুলি বলেন, মিনিয়াপলিস এখন সব ধর্মাবলম্বীর শহরে পরিণত হয়েছে। এর আগে গত বছর আজানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তবে তা সকাল ও সন্ধ্যার কিছু সময় ছাড়া সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে ছিল।

ইসলাম ধর্ম অনুসারে প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ভোরবেলা, দুপুরে, শেষ বিকেলে, সূর্যাস্তের পর ও রাতে মুসলিমরা এসব নামাজ পড়েন। মিনিয়াপলিসে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ভোর হয়ে থাকে সাড়ে ৫টার দিকে এবং সূর্যাস্ত হয় রাত ৯টার পর।

১৯৯০ সাল থেকে মিনিয়াপলিসে পূর্ব আফ্রিকান বংশোদ্ভূত অভিবাসী সম্প্রদায় রয়েছে। এখানকার মসজিদগুলো শহরের প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়ে ওঠে। মিনিয়াপলিস সিটি কাউন্সিলের ১৩ সদস্যের মধ্যে তিনজন মুসলিম রয়েছেন। খ্রিস্টান, ইহুদিসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী সদস্যরাও এই প্রস্তাবনায় সমর্থন দেন।

সূত্র : আলজাজিরা