যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

মেসওয়াক করবেন যেভাবে

মেসওয়াক করা সুন্নাত। শেষ নবি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক মেসওয়াক করতেন। কারণ তার ভাষায়, মেসওয়াক মুখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়। (বুখারি, মিশকাত)

উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেসওয়াক করার গুরুত্ব সম্পর্কে বর্ণনা করেন- মেসওয়াকবিহীন নামাজের চেয়ে মেসওয়াক করে যে নামাজ আদায় করা হয়, তাতে সত্তর গুণ বেশি ফজিলত আছে। (বায়হাকি)

মেসওয়াকের গুরুত্ব তুলে ধরে অন্য হাদিসে প্রিয়নবি (স.) বর্ণনা করেন- কখনো এমন হয়নি যে, জিবরাইল (আ.) আমার কাছে এসেছেন; অথচ আমাকে মেসওয়াক করতে বলেননি। এতে আমার আশঙ্কা হতো মেসওয়াকের কারণে আমার মুখে অগ্রভাগ ছিন্ন-ভিন্ন করে না ফেলি। (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত)

নিয়মিত মেসওয়াকে আছে অনেক ফজিলত ও উপকারিতা। কিন্তু মেসওয়াক কখন করতে হবে বা কখন মেসওয়াক করা উত্তম। আবার কীভাবে মেসওয়াক করতে হবে। তার কিছু সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরা হলো-

মেসওয়াক যেভাবে করবেন ১. মুখের ডানদিক থেকে মেসওয়াক শুরু করা।
২. দাঁতের প্রস্থের দিক থেকে মেসওয়াক করা। অর্থাৎ দৈর্ঘের দিক থেকে (উপর-নিচে) নয়।
৩. ডানহাতের কনিষ্ঠ আঙুল মেসওয়াকের নিচে রেখে আর তর্জনী, মধ্যমা ও শাহাদাত আঙুল মেসওয়াকের ওপর রেখে বৃদ্ধ আঙুলের পেট দিয়ে ভালোভাবে ধরা।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে নিয়মটি বর্ণিত হয়েছে।

মেসওয়াকের উত্তম সময় ১. ঘুম থেকে ওঠার পর মেসওয়াক করা।
২. অজুতে কুলি করার আগে মেসওয়াক করা। অনেকে ওজুর শুরু করার আগে মেসওয়াক করার কথা বলেছেন।
৩. নামাজ আদায়ের আগে মেসওয়াক করা।
৪. কুরআন-হাদিস পড়ার আগে মেসওয়াক করাকে অনেকে মুস্তাহাব বলেছেন।
৫. মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের আগে মেওয়াক করা।
৬. কোনো মজলিসে যাওয়ার আগে মেসওয়াক করা।
৭. ঘরে প্রবেশ করে মেসওয়াক করা।
৮. মুখে দুর্গন্ধ ছড়ালে মেসওয়াক করা।
৯. দাঁতে হলুদ আবরণ বা ময়লাযুক্ত হলে মেসওয়াক করা।
১০. ক্ষুধা লাগলে মেসওয়াক করা।
১১. জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে মেসওয়াক করা।