কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

বৃষ্টিস্নাত কাবা প্রাঙ্গণে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতেছে শিশু-কিশোররা

গতকাল রবিবার (১৯ নভেম্বর) রাত থেকে থেমে থেমে মক্কার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়। মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামে মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে। বৃষ্টিস্নাত কাবা প্রাঙ্গণে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে শিশু-কিশোররা। এসব দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বৃষ্টিস্নাত কাবা প্রাঙ্গণ মুসল্লিদের মধ্যে তৈরি করে অন্য রকম অনুভূতি। অনাবিল প্রশান্তিতে ভরে ওঠে তাদের ক্লান্ত দেহ ও অস্থির মন। এ সময় মসজিদ চত্বরে আগ্রহভরে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকেন অনেকে। আবার অনেকে ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং মুগ্ধতাভরে তাকিয়ে থাকেন কালো গিলাফের দিকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বৃষ্টিতে ভিজে মুসল্লিরা তাওয়াফ ও নামাজ আদায় করছেন। কাবাঘর স্পর্শ করে বৃষ্টির পানি ছুঁয়ে দেখছেন অনেকে। বৃষ্টিস্নাত কাবাঘরের দৃশ্য ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করছেন অনেকে। এদিকে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের তত্ত্বাবধানকারী পবিত্র হারামাইন বিষয়ক সাধারণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃষ্টির পর দ্রুততর সময়ে কাবা প্রাঙ্গণ থেকে পানি নিষ্কাষণে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তা ছাড়া মুসল্লিদের মধ্যে ছাতা বিতরণ করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ মসজিদ কর্তৃপক্ষ বৃষ্টির মুহূর্তের ছবি প্রকাশ করে। ছবির বিবরণীতে আল্লাহর অনুগ্রহ প্রার্থনা করে বলা হয়, আপনার কাছে উপকারী বৃষ্টি কামনা করছি। হে আল্লাহ, আমরা আপনার কাছে আপনার অনুকম্পা, বৃষ্টি, ক্ষমা ও অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। আরেক পোস্টে বলা হয়, হে আল্লাহ, এসব বৃষ্টিকে আমাদের জন্য বরকতপূর্ণ ও কল্যাণকর করুন। এর সঙ্গে আমাদের আপনার সন্তুষ্টি দান করুন। আমাদের আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ, প্রশংসাকারী ও অনুগত হিসিবে কবুল করুন।