কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

নবীগৃহে ঈদ

(আল্লাহ তাআলা আমাদের ও তোমাদের রোজা, তারাবির নামাজ ও অন্যান্য সকল নেক আমল কবুল করুক। আর তোমরা সারাটি বছর সুখে থাক।)

মদীনার ইতিহাসে একটি আলোকোজ্জল দিন তথা ঈদের দিন সকাল বেলায় নবীঘর ও আশে পাশের সবকয়টি জায়গায় ঈদ উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছিল। আর এ সব কিছুই হচ্ছিল মানবতার মুক্তিদূত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চোখের সামনে। প্রত্যেকে ঈদ উৎসবে নিজ নিজ অনুভূতি ব্যক্ত করছিল। তারা সকলেই চাইত তাদের নিজ নিজ অনুষ্ঠান সম্পর্কে যাতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবগত হন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভালোবাসা ও সম্মানের খাতিরেই তারা এসব করেছিল।

এদিকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘরের অবস্থা সম্পর্কে উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বর্ণনা হলো : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন আমার ঘরে আগমন করলেন, তখন আমার নিকট দুটি ছোট মেয়ে গান গাইতেছিল। তাদের দেখে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে শুয়ে পড়লেন।

ইতোমধ্যে আবু বকর রা. ঘরে প্রবেশ করে এই বলে আমাকে ধমকাতে লাগলেন যে, নবীজির কাছে শয়তানের বাশি?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কথা শুনে বললেন : মেয়ে দুটিকে গাইতে দাও। অতঃপর যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য মনস্ক হলেন তখন আমি মেয়ে দুটিকে ইশারা করলে তারা বের হয়ে গেল।

হুজরা শরিফের খুবই নিকটে আরেকটি অনুষ্ঠান চলতেছিল, যেটির বর্ণনা দিয়েছেন স্বয়ং আয়েশা রা.। তিনি বলেন: ঈদের দিন আবি সিনিয়ার কিছু লোকজন লাঠি-শোঠা নিয়ে খেলা-দুলা করতেছিল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা রা. কে ডেকে বললেন : আয়েশা তুমি কী দেখতে চাও? আমি বললাম: হ্যাঁ। তিনি আমাকে তাঁর পিছনে দাড় করিয়ে দিলেন, আমার গাল তাঁর গালের উপর রাখলাম। তিনি তাদের উৎসাহ দিয়ে বললেন: হে বনি আরফেদা, তোমরা শক্ত করে ধর।

এরপর আমি যখন ক্লান্ত হয়ে গেলাম তখন তিনি বললেন, তোমার দেখা হয়েছে তো? আমি বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন: তাহলে এবার যাও। (বুখারী, মুসলিম)