যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

ইফতারে খেজুর খাওয়া কি জরুরি?

ইফতার অর্থ রোজা ভাঙা। রমজানে বা অন্যান্য সময় সারাদিন রোজা রাখার পর কিছু খাবার খেয়ে রোজা ভাঙাকে ইফতার বলা হয়। রোজা শেষে দ্রুত ইফতার করা নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুন্নত। নবিজি (সা.) দ্রুত ইফতার করতে উৎসাহ দিয়ে বলেছেন,

لاَ يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ

যতদিন পর্যন্ত মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে। (সহিহ বুখারি: ১৯৫৭, সহিহ মুসলিম: ১০৯৮)

পানিসহ যে কোনো হালাল খাবার দিয়ে ইফতার করা যায়। পানি, খেজুর বা এ রকম বিশেষ কোনো খাবার খেয়ে ইফতার করা জরুরি নয়। আরবের বহুলপ্রচলিত ও সহজলভ্য ফল হিসেবে আল্লাহর রাসুল (সা.) ইফতারে খেজুর খেতেন। তিনি তার সাহাবিদেরও খেজুর পেলে খেজুর খেয়ে ইফতার করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে খেজুর না পাওয়া গেলে শুধু পানি দিয়ে ইফতার করাকেও অনুমোদন করেছেন। সালমান ইবনে আমের (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

إِذَا أَفْطَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى تَمْرٍ فَإِنَّهُ بَرَكَةٌ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى مَاءٍ فَإِنَّهُ طَهُورٌ

তোমাদের কেউ যখন ইফতার করবে সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে। খেজুর বরকতময়। যদি খেজুর না পায়, তাহলে যেন পানি দিয়ে ইফতার করে। পানি পবিত্র বা পবিত্রকারী। (সুনানে তিরমিজি: ৬৫৪)

পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন রকম মাটি, প্রকৃতি ও আবহাওয়া দান করেছেন। বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকম ফল ও ফসল উৎপন্ন হয়। আমাদের দেশে খেজুর কম উৎপন্ন হয়। তবে আরব দেশগুলো থেকে প্রচুর খেজুর এখন আমাদের দেশে আমদানি হয় এবং সারা বছরই আমাদের বাজারে খেজুর পাওয়া যায়। খেজুর কিনতে পারলে রোজা শেষে আল্লাহর রাসুলের (সা.) অনুসরণ করে তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা খেজুর খেয়ে ইফতার করতে পারি। পাশাপাশি আমাদের দেশে সহজলভ্য ও পুষ্টিকর বিভিন্ন ফল খেয়েও ইফতার করতে পারি। সব ফল-ফসলই আল্লাহর নেয়ামত ও তার কুদরতের নিদর্শন। আল্লাহ বলেন,

وَہُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَخۡرَجۡنَا بِہٖ نَبَاتَ کُلِّ شَیۡءٍ فَاَخۡرَجۡنَا مِنۡہُ خَضِرًا نُّخۡرِجُ مِنۡہُ حَبًّا مُّتَرَاکِبًا وَمِنَ النَّخۡلِ مِنۡ طَلۡعِہَا قِنۡوَانٌ دَانِیَۃٌ وَّجَنّٰتٍ مِّنۡ اَعۡنَابٍ وَّالزَّیۡتُوۡنَ وَالرُّمَّانَ مُشۡتَبِہًا وَّغَیۡرَ مُتَشَابِہٍ اُنۡظُرُوۡۤا اِلٰی ثَمَرِہٖۤ اِذَاۤ اَثۡمَرَ وَیَنۡعِہٖ اِنَّ فِیۡ ذٰلِکُمۡ لَاٰیٰتٍ لِّقَوۡمٍ یُّؤۡمِنُوۡنَ

আর তিনিই আকাশ থেকে বর্ষণ করেছেন বৃষ্টি। অতঃপর আমি এর দ্বারা উৎপন্ন করেছি সব জাতের উদ্ভিদ। অতঃপর আমি তা থেকে বের করেছি সবুজ ডাল-পালা। আমি তা থেকে বের করি ঘন সন্নিবিষ্ট শস্যদানা। আর খেজুর বৃক্ষের মাথি থেকে বের করি ঝুলন্ত থোকা। আর উৎপন্ন করি আঙ্গুরের বাগান এবং সাদৃশ্যপূর্ণ ও সাদৃশ্যহীন যয়তুন ও আনার। বিভিন্ন গাছের ফলের দিকে দেখ যখন সেগুলো ফলন্ত হয় এবং সেগুলোর পরিপক্কতাও দেখ। নিশ্চয় এ গুলোতে নিদর্শন রয়েছে ঈমানদারদের জন্যে। (সুরা আনআম: ৯৯)