যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

অসুস্থ ও মুসাফিরের রোজার বিধান

রমজানের রোজা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُتِبَ عَلَیۡکُمُ الصِّیَامُ کَمَا کُتِبَ عَلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ

হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। (সুরা বাকারা: ১৮৩)

ইসলাম সব ক্ষেত্রেই দীনের বিধিবিধান মানুষের জন্য সহজ রাখার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনে রোজা ফরজ হওয়ার বিধান উল্লেখ করার পরপরই আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা অসুস্থ ও মুসাফিরের জন্য রোজার বিধানে ছাড় থাকার কথা উল্লেখ করে বলেছেন,

فَمَنۡ کَانَ مِنۡکُمۡ مَّرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ

তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে কিংবা সফরে থাকবে, সে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। (সুরা বাকারা: ১৮৪)

অর্থাৎ রমজান মাসে কেউ যদি অসুস্থ বা মুসাফির হয়, সে রমজানের দিনের বেলা রোজা ভাঙতে পারবে এবং অন্য সময় ওই রোজাগুলোর কাজা আদায় করে নিতে পারবে।

কেউ যদি ৪৮ মাইল (৭৭.২৩২ কিলোমিটার) রাস্তা অতিক্রম করে কোনো জায়গায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজের এলাকার লোকালয় থেকে বের হয়, ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় তাকে মুসাফির বলা হয় এবং নামাজ কসর করা ও রোজায় ছাড় পাওয়াসহ মুসাফিরের যাবতীয় বিধিবিধান তার ব্যাপারে প্রযোজ্য হয়।