যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

মুখে ধুলা-বালি ঢুকলে রোজার ক্ষতি হবে কি?

নাকে বা মুখে ধুলা-বালি ঢুকলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। তাই যাদের প্রচুর ধুলাবালির মধ্যে কাজ করতে হয়, তারা রোজা রেখেও ওইসব কাজ করতে পারেন।কেউ যদি ইচ্ছা করে রমজান মাসের দিনের বেলা যৌনমিলন করে অথবা পানাহার করে, তবে তার রোজা ভেঙে যাবে। কাজা করতে হবে, কাফফারাও দিতে হবে। কাজা অর্থ একটি রোজার বদলে পরবর্তীতে আরেকটি রোজা রাখা আর কাফফারা আদায় করার তিনটি পদ্ধতি রয়েছে ১. একটি দাসমুক্ত করা, ২. ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা ভালোভাবে তৃপ্তিসহকারে আহার করানো ৩. ধারাবাহিকভাবে ৬০টি রোজা রাখা।

কুলি করার সময় অনিচ্ছায় গলার ভেতর পানি প্রবেশ করলে, রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার করলে, ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে, রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেওয়ার সময় ভেতরে পানি চলে গেলে রোজা ভেঙে যাবে এবং কাজা করে নিতে হবে। তবে কাফফারা ওয়াজিহ হবে না।রোজা থাকার কথা ভুলে গিয়ে কোনো কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভাঙবে না। তবে ভুলবশত খাওয়ার পর রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরো কিছু খেলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে, কাফফারা ওয়াজিব হবে না।দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে রোজা ভেঙে যাবে, এ ক্ষেত্রেও শুধু কাজা ওয়াজিব হবে, কাফফারা নয়।