অজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর
No icon

নবী-রাসূল পাঠানোর উদ্দেশ্য

আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে অগণিত নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। তাদের সঠিক সংখ্যা একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন। তাঁরা হলেন পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি। পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালা মিশন বাস্তবায়ন করার জন্যই নবী-রাসূলদের পাঠিয়েছেন। তাদের পাঠানোর উদ্দেশ্য হলো
১. আল্লাহর বাণী পৌঁছানো : নবী-রাসূলদের কাজ হলো আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন হে রাসূল! আপনাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার করুন, যদি না করেন তবে তো আপনি তাঁর বার্তা প্রচার করলেন না (সূরা মায়িদা-৬৭)।
২. সত্যের দিকে আহ্বান : নবী-রাসূলদের প্রধান কাজ হলো সত্য ও ন্যায়ের দিকে আহ্বান। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- বলুন! এটাই আমার পথ। আমি (মানুষকে) আল্লাহর দিকে ডাকব (সূরা ইউসুফ-১০৮)। অন্যত্র ইরশাদ করেন, আর তার কথার চেয়ে কার কথা অধিক সুন্দর যে (মানুষকে) আল্লাহর দিকে ডাকে এবং নেক কাজ করে, আর বলে আমি মুসলিম (সূরা ফুসসিলাত-৩৩)। আরো ইরশাদ করেন হে আমার জাতি! আমার কী হলো, আমি তোমাদের ডাকছি মুক্তির দিকে আর তোমরা আমাকে ডাকছ দোজখের দিকে (সূরা গাফির-৪১)।
৩. জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা দান : জ্ঞান হলো আলো। নবী-রাসূলরা মানুষদের নির্ভুল ও ওহি প্রদত্ত জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন আল্লাহ মুমিনদের ওপর বিরাট অনুগ্রহ করেছেন যে, তাদের নিজেদের মধ্য থেকেই নবী পাঠিয়েছেন, যে তাদের নিকট তাঁর আয়াত পাঠ করেন, তাদেরকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন, যদিও তারা আগে ছিল স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে (সূরা আলে ইমরান-১৬৪)।
৪. দ্বীনকে বিজয়ী করা : পৃথিবী আল্লাহর, ফলে পৃথিবীতে আইন চলবে একমাত্র আল্লাহর। এ লক্ষ্যে নবী-রাসূলরা কাজ করেছেন। আর এ পথে তাঁরা আজীবন পরিশ্রম করেছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন তিনি ওই সত্তা যিনি তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীন দিয়ে পাঠিয়েছেন, যাতে সব বাতিল ধর্মের ওপর ইসলামকে বিজয়ী করতে পারে (সূরা সফ-৯)।
৫. জান্নাতের সুসংবাদ দান এবং জাহান্নামের ভয় প্রদর্শন করা : আল্লাহ তায়ালা নবী-রাসূলদের জান্নাতের সুখ-শান্তির সুসংবাদদাতা এবং জাহান্নামের কঠিন আজাবের ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন আর আপনার নিকটাত্মীয়দেরকে জাহান্নামের ভয় দেখান (সূরা শুয়ারা-২১৪)। অন্যত্র ইরশাদ করেন শাস্তির আগমন দিন সম্পর্কে ওদের সতর্ক করুন(সূরা ইবরাহিম-৪৪)। অন্যত্র ইরশাদ করেন সত্যসহ আপনাকে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি (সূরা ফাতির-২৪)। অন্যত্র ইরশাদ করেন সমস্ত মানুষ ছিল একই উম্মতভুক্ত। অতঃপর আল্লাহ নবীদের সুসংবাদদাতা ও সর্তককারী হিসেবে পাঠান (সূরা বাকারা-২১৩)।
৬. আল্লাহর ইবাদত করার ও তাগুতকে বর্জন করার নির্দেশ দান : আল্লাহ মানবজাতিকে তাঁর ইবাদত করার ও তাগুতকে বর্জন করার নির্দেশ দেয়ার জন্য নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। যেমন আল্লাহর বাণী আল্লাহর ইবাদত করার ও তাগুতকে বর্জন করার নির্দেশ দেয়ার জন্য আমি প্রত্যেক জাতির কাছে রাসূল পাঠিয়েছি। (সূরা নাহল-৩৬)