কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

রমজানে রাতভর আলোকোজ্জ্বল থাকে ফিলিপিনো শহর

মুসলিম মিন্দানাওয়ের বাংসামোরো স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রধান শহর কোটাবাতো। প্রধানত ক্যাথলিক ফিলিপাইনের এ অঞ্চলে রমজান উদযাপন শুরু হওয়ায় রঙিন আলোর স্থাপনায় আলোকিত হয়েছে। ন্যাশনাল কমিশন ফর মুসলিম ফিলিপিনোর ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১২ কোটি মানুষের এই দেশে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মুসলমানের বাস। তারা বেশিরভাগই মিন্দানাও দ্বীপ এবং দেশের দক্ষিণে সুলু দ্বীপপুঞ্জে, পাশাপাশি ম্যানিলায় বাস করে, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার পরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম স¤প্রদায় গঠন করে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বিএআরএমএম-এর প্রশাসনিক সদর দফতর কোটাবাটো সিটিতে অবস্থিত।
ফিলিপাইনে রোজার মাসের প্রথম দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার রাতে বাংসামোরো গভর্নমেন্ট সেন্টারে আলো জ্বালানো হয়। এখানে হালাল খাদ্যমেলা এবং নৈশকালীন বাজারে বিক্রির জন্য স্থানীয় পণ্যগুলোসহ অন্যান্য কার্যক্রম ছিল।
বিএআরএমএম মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ ইব্রাহিম আরব নিউজকে বলেছেন, ‘আমরা একটি বার্তা পাঠাতে চাই যে, যদিও রমজান সাধারণত ত্যাগের মাস, এর অর্থ এই নয় যে, আমাদের দুঃখ করা উচিত। এটি বিশ্বাস করা হয় যে, যখন পবিত্র কুরআন আল্লাহ নবী মুহাম্মদ (স.)-এর কাছে নাযিল করেন, তখন তা রমজান মাসে নাযিল করা হয়েছিল। সুতরাং, উদযাপন করতে আমরা আমারা আনন্দ প্রকাশ করি’।
আলোর বার্ষিক উৎসব ২০১৯ সালে উদ্বোধন করা হয় এবং মুসলিম এবং অমুসলিম উভয়কেই অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। ইব্রাহিম বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টায় সওম ভাঙার পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত এখানে উৎসবের মেজাজ থাকে। প্রতি রাতেই চলে নানা কর্মসূচি। সবাইকে স্বাগত’। আলোকসজ্জার সময় সরকারী কেন্দ্র এলাকাটি দূর থেকে মনে হয় রঙিন বাতি দিয়ে তৈরি বড় মসজিদ। ব্যাংসামোরো ইনফরমেশন অফিসের ডিরেক্টর অ্যান্ড্রæ আলন্টো বলেছেন, রোজার মাসে এটি ‘পরিবার এবং বন্ধুদের একত্রিত হওয়ার জায়গা হয়ে ওঠে’। সূত্র : আরব নিউজ।