ইসলামে জুমার দিন সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। ইদুল ফিতর ও ইদুল আজহার দিনের চেয়েও জুমার দিনের মর্যাদা ও গুরুত্ব বেশি। রাসুল (সা.) বলেছেন,
إِنّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ سَيِّدُ الْأَيّامِ وَأَعْظَمُهَا عِنْدَ اللهِ مِنْ يَوْمِ الْأَضْحَى وَيَوْمِ الْفِطْرِ
আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন,
إِنَّ هَذَا يَوْمُ عِيدٍ جَعَلَهُ اللَّهُ لِلْمُسْلِمِينَ فَمَنْ جَاءَ إِلَى الْجُمُعَةِ فَلْيَغْتَسِلْ وَإِنْ كَانَ طِيبٌ فَلْيَمَسَّ مِنْهُ وَعَلَيْكُمْ بِالسِّوَاكِ নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা: ৮৩)
জুমার দিনের বহু বৈশিষ্ট্যের একটি হলো, এ দিন আল্লাহ তাআলার দরবারে মানুষের আমলসমূহ পেশ করা হয়। আবু হোরায়রার (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) জুমার দিনের এ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে বলেছেন, আল্লাহ তাআলা এ দিন আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীদের আমল কবুল করেন না। রাসুল (সা.) বলেন,
إِنَّ أَعْمَالَ بَنِي آدَمَ تُعْرَضُ كُلّ خَمِيسٍ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ فَلَا يُقْبَلُ عَمَلُ قَاطِعِ رَحِمٍ. জুমার রাতে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আদম সন্তানের আমল আল্লাহর সামনে পেশ করা হয়। তখন আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীদের আমল কবুল করা হয় না। (মুসনাদে আহমাদ: ১০২৭২)
ইসলামে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা অর্থাৎ আত্মীয় স্বজনদের প্রতি নিজের কর্তব্যগুলো পালন করা, তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ফরজ। বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লিখিত হাদিসটি থেকে বোঝা যায় জুমার দিন বিশেষভাবে আত্মীয়দের খোঁজখবর নেওয়া উচিত। কারো সাথে ঝগড়া বা মনোমালিন্য থাকলে মিটিয়ে ফেলা উচিত।