যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহা জান্নাতী নারীদের সরদার

 
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ:  أَقْبَلَتْ فَاطِمَةُ تَمْشِي كَأَنَّ مِشْيَتَهَا مَشْيُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:  «مَرْحَبًا بِابْنَتِي» ثُمَّ أَجْلَسَهَا عَنْ يَمِينِهِ، أَوْ عَنْ شِمَالِهِ، ثُمَّ أَسَرَّ إِلَيْهَا حَدِيثًا فَبَكَتْ، فَقُلْتُ لَهَا:  لِمَ تَبْكِينَ؟ ثُمَّ أَسَرَّ إِلَيْهَا حَدِيثًا فَضَحِكَتْ، فَقُلْتُ:  مَارَأَيْتُ كَاليَوْمِ فَرَحًا أَقْرَبَ مِنْ حُزْنٍ، فَسَأَلْتُهَا عَمَّا قَالَ: فَقَالَتْ:  مَا كُنْتُ لِأُفْشِيَ سِرَّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى قُبِضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلْتُهَا فَقَالَتْ: أَسَرَّ إِلَيَّ:  «إِنَّ جِبْرِيلَ كَانَ يُعَارِضُنِي القُرْآنَ كُلَّ سَنَةٍ مَرَّةً، وَإِنَّهُ عَارَضَنِي العَامَ مَرَّتَيْنِ، وَلاَ أُرَاهُ إِلَّا حَضَرَ أَجَلِي، وَإِنَّكِ أَوَّلُ أَهْلِ بَيْتِي لَحَاقًا بِي». فَبَكَيْتُ، فَقَالَ:  «أَمَا تَرْضَيْنَ أَنْ تَكُونِي سَيِّدَةَ نِسَاءِ أَهْلِ الجَنَّةِ، أَوْ نِسَاءِ المُؤْمِنِينَ» فَضَحِكْتُ لِذَلِكَ
“আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন ফাতেমা পায়ে হেটে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে আসছিল। তার হাটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাটার মতই ছিল। তাকে দেখে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, স্বাগতম আমার মেয়ের প্রতি! তার পর তাকে তার ডান বা বাম দিকে বসালেন, তারপর তার কানে কানে কিছু কথা বললে, সে কেঁদে দিল, তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি কেন কাঁদছ? তারপর আবারও সে কানে কানে কিছু কথা বলল, তখন সে হেসে দিল। তখন আমি বললাম, আজকের দিনের মত এত বেশি খুশি তোমাকে আমি আর কখনো দেখিনি। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে কি বলছে? তখন সে বলল, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোপন কথা কারও নিকট প্রকাশ করব না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর পর তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তখন সে বলল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, জিবরীল প্রতি বছর একবার করে আমার নিকট কুরআন পেশ করে থাকে। কিন্তু এ বছর সে দুইবার কুরআন পেশ করেছে। এর কারণ, এটাই যে, আমার সময় ফুরিয়ে আসছে। আর আমার পরিবারের মধ্যে তুমিই সবার আগে আমার সাথে সম্পৃক্ত হবে। এ কথা শোনে আমি কাঁদি। তারপর তিনি বললেন, তুমি কি এতে খুশি নও যে, তুমি জান্নাতী নারীদের বা মুমিন নারীদের সরদার হবে? এ কথা শোনে আমি হাসলাম।