যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

আজান দেওয়ার সময় অজু অবস্থায় থাকা কি জরুরি

আজান মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য আহ্বান জানানোর ইসলামি পদ্ধতি। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য পাঁচবার মসজিদ থেকে আজান দেওয়া হয়। এ ছাড়া সফরে বের হলে, মসজিদ নেই এমন কোনো জায়গায় নামাজ পড়লেও আজান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাসুল (সা.)। রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন নামাজের সময় হয়, তোমাদের কেউ যেন আজান দেয় তোমাদের বয়োজ্যষ্ঠ ব্যক্তি যেন ইমামতি করে। (সুনানে আবু দাউদ)

অজু অবস্থায় আজান দেওয়া মুস্তাহাব। আজান শুদ্ধ হওয়ার জন্য অজু অবস্থায় থাকা জরুরি নয়। অজু ছাড়া আজান দেওয়া জায়েজ। মুয়াজ্জিন অজু ছাড়া আজান দিয়ে ফেললে আজান হয়ে যাবে। ইবরাহিম নাখঈ (রহ.) বলেন, অজু ছাড়া আজান দিলে কোনো সমস্যা নেই। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা)

তবে অজু ছাড়া আজান দেওয়াকে অভ্যাস বানানো অনুচিত। কারণ এটা একটা ফজিলতপূর্ণ ইবাদত এবং অজুর সাথেই ইবাদতটি করা সুন্দর ও সমীচীন।পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নাতে মুআক্কাদা কেফায়া। অর্থাৎ কোনো মহল্লার মসজিদে আজান না হলে বা কেউ আজান না দিলে সুন্নত ছেড়ে দেওয়ার জন্য সবাই গুনাহগার হবে। মসজিদ ছাড়া বাড়িতে বা অন্য কোথাও একাকী বা জামাতে নামাজ পড়লে আজান দেওয়া মুস্তাহাব।