২১৫ বছর আগের মসজিদ রংপুরের প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্যবসায়িক পণ্যের জাকাত ইবাদত পালনকারীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত মসজিদে নববীমৃত বাবা-মাকে স্বপ্নে দেখলে যা করবেনযেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় না
No icon

মহররমের ফজিলত ও তাৎপর্য

মহররম মাস সেই চার মাসের একটি, যার শ্রেষ্ঠত্ব ও মহিমা আল্লাহ তাআলা মহাবিশ্ব সৃষ্টি করার সময়ই লিখে রেখেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন : ‘প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে আল্লাহর কিতাবে (অর্থাৎ লাওহে মাহফুজে) মাসের সংখ্যা ১২টি। সেই দিন থেকে, যেদিন আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। এর মধ্যে চারটি মাস মর্যাদাপূর্ণ। (সুরা : আত-তাওবা, আয়াত : ৩৬)

এই ১২ মাসের মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। তিনটি ধারাবাহিক—জিলকদ, জিলহজ, মহররম আর চতুর্থটি হলো রজব, যা জুমাদাল উখরা ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী মাস। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৬৬২; সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৬৭৯)

কাতাদা (রা.) বলেন, সম্মানিত মাসগুলোতে নেক আমল করার সওয়াব অনেক বড়। তাই এই সব মাসে গুনাহর শাস্তিও অনেক বড়, যদিও গুনাহ প্রতিটি যুগে (মন্দের দিক থেকে) বেশি হয়। (তাফসিরে ইবনে কাসির, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-১৪১)

আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলি (রহ.) বলেন, পূর্বসূরিরা তিন দশকের প্রতি খুব গুরুত্ব ও মনোযোগ দিতেন—১. রমজানের শেষ দশক, ২. জিলহজের প্রথম দশক, ৩. মহররমের প্রথম দশক। (লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা-৮০)