যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

জুমআর দিন দোয়া কবুলের ‘অল্প কিছুক্ষণ সময়’

১. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমআর দিনের আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, এতে (এ দিনে) কিছু সময় আছে এমন, যখন কোনো মুসলিম বান্দা দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে তিনি তাকে তা অবশ্যই দেবেন। তিনি হাতের ইশারায় দেখিয়ে দেন যে, ওই সময়টি (খুবই) অল্প। (বুখারি)

২. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, জুমআর দিন একটি সময় আছে যখন কোনো মুসলিম বান্দা আল্লাহর কাছে কোনো কল্যাণ চাইলে, তিনি তাকে তা অবশ্যই দেবেন। আর সেটি হলো আসরের পর। (বুখারি, মুসনাদে আহমাদ)

৩. হজরত জাবির ইবনু আব্দিল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, জুমআর দিন ১২ ঘণ্টা সময়; এর মধ্যে একটি সময় আছে এমন, যখন কোনো মুসলিম বান্দা আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে, তিনি তাকে তা অবশ্যই দেবেন। সুতরাং তোমরা আসরের পর শেষ সময়টুকুতে তা অনুসন্ধান কর।(আবু দাউদ)

৪. হজরত আবু মুসা আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহুর ছেলে হজরত আবু বুরদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু আমাকে বলেন, তুমি কি তোমার পিতাকে জুমআর দিনের (বিশেষ) সময়ের মর্যাদা সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোনো হাদিস বর্ণনা করতে শুনেছ?

আমি বলি, হ্যাঁ আমি তাকে বলতে শুনেছি, আমি (আবু মুসা আশআরি) আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি- সেটি হলো ইমামের (বৈঠকে) বসা থেকে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত মাঝখানের সময়টুকু। (মুসলিম)

আল্লামা ইবনুল কায়্যিম ও অন্যান্য ইসলামিক স্কলারগণ যে মতটি দিয়েছেন, তাহলো- জুমআর দিন দোয়া কবুলের সেই সময়টি হলো আসরের পর। (যাদুল মাআদ)

আল্লামা ইবনুল কায়্যিম বলেন, আমার মতে নামাজের সময়টি মূলত এমন এক সময়, যখন দোয়া কবুলের আশা করা যায়। (সাধারণত নামাজের সময় ও আসরের পর-) উভয়টি হলো দোয়া কবুলের সময়; যদিও বিশেষ এ সময়টি হলো আসরের পর। এটি নির্দিষ্ট। আগে পরে হওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। তবে নামাজের সময় কথাটি নামাজের আগের ও পরের উভয় সময়কেই বোঝায়।এক জায়গায় মুসলিমদের সমবেত হওয়া; তাদের নামাজ আদায় করা এবং বিনয়ের সঙ্গে আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়া- এ সবগুলোরই দোয়া কবুলের পেছনে প্রভাব রয়েছে। তাই তাদের সমবেত হওয়ার সময়টিতে দোয়া কবুর হওয়ার ব্যাপারে আশা করা যায়।আর এভাবেই জুমআর দিনের মর্যাদা ও আমল সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লামের সব হাদিসের মধ্যে সমন্বয় হয়ে যায়।