যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

যে ৪ সময় গোনাহমুক্ত থাকে মানুষ

গোনাহমুক্ত সময় মানুষের জন্য সেরা উপহার। আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে মুক্ত থাকা মহান আল্লাহর অনুগ্রহও বটে। মানুষের জন্য গোনাহমুক্ত এমন কিছু সময়ের বর্ণনা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাহলো-

১.অপ্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায়

অনেকেই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকেন যে, অপ্রাপ্ত বা ছোট বয়সে অন্যায় কাজ করলে তার জন্য কোনো গোনাহ হবে কিনা। নাবালেগ ছোট শিশুরা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরই তাদের উপর ইসলামের বিধান মেনে চলার হুকুম চলে আসে। ১৪ বছরের ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু নাবালেগ হওয়ার কারণে উহুদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের অনুমতি পাননি। পরবর্তীতে খন্দকের যুদ্ধের সময় তাঁকে জেহাদের অনুমতি দেয়া হয়।

২. ঘুমের সময়

ঘুমে থাকা অবস্থায় মানুষের কোনো গোনাহ হয় না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে ঘুমে থাকা ব্যক্তির গোনাহ হয় না মর্মে অনেক হাদিস বর্ণনা করেছেন।

৩. পাগল হয়ে গেলে

যদি কোনো ব্যক্তি পাগল হয় কিংবা মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে, তখন ওই ব্যক্তির অন্যায়মূলক কোনো কাজেও গোনাহ হয় না। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে তা প্রমাণিত।

৪. অজ্ঞান হয়ে গেলে

কোনো কারণে যদি কেউ বেহুঁশ হয়ে যায়। তার হুঁশ ফিরে আসা পর্যন্ত অন্যায় কাজেও গোনাহ হবে না বলে হাদিসের এক বর্ণনায় উঠে এসেছে।

উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রমাণে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। বর্ণিত হাদিসগুলো হলো-

১. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছে- ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়। নাবালেগ, যতক্ষণ না সে বালেগ (প্রাপ্ত বয়স্ক) হয় এবং পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায় বা সুস্থ হয়। অধস্তন রাবি আবু বাকর রহমাতুল্লাহি আলাইহির এক বর্ণনায় এসেছে- বেহুঁশ ব্যক্তি যতক্ষণ না সে হুঁশ ফিরে পায়। (ইবনে মাজাহ)