কোনো কিছু কুলক্ষুণে বা অশুভ মনে হলে কী করবেন? এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কুলক্ষুণে মনে করে কেউ যদি তার প্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকে, তাহলে তা শিরক। এ অবস্থায় করণীয় ও আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে বলেছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-
১. হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কুলক্ষুণ মনে করে কেউ যদি তার প্রয়োজনীয় কাজ থেকে বিরত থাকে; তা হলে এটি শিরক করল! সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করেন- হে আল্লাহর রাসুল! এ থেকে নিস্তার লাভের/মুক্তি পাওয়ার উপায়/করণীয় কী? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন; তোমরা বলবে-
اللهمَّ لَا خيرَ إلَّا خيرُكَ و لا طَيرَ إلَّا طيرُكَ ولا إلهَ غيرُك উচ্চারণ : ;আল্লাহুম্মা লা খাইরা ইল্লা খাইরুকা; ওয়া লা ত্বাইরা ইল্লা ত্বাইরুকা; ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা। অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার দেওয়া কল্যাণ ছাড়া কোনো কল্যাণ নেই; তোমার ইশারা ছাড়া কোনো ইশারা নেই; আর তুমি ছাড়া কোনো সার্বভৌম সত্তা নেই। (মুসনাদে আহামদ)
২. হজরত উরওয়াহ ইবনু আমির কুরাশি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, (কিছু জিনিসের) অশুভ বা কুলক্ষুণে হওয়ার বিষয়টি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে আলোচনা করা হলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বললেন, এ সবের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর হলো ফাল অর্থাৎ সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে মানুষকে প্রেরণা জোগানো। এসব অশুভ ধারনা মুসলিমের কর্মপ্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না। তাই, তোমাদের কেউ অপছন্দনীয় কিছু দেখলে; সে যেন বলেন-
اللَّهُمَّ لا يَأتي بالحَسَناتِ إلا أنتَ، وَلا يَدْفَعُ السَّيِّئاتِ إلا أنْتَ، وَلا حوْلَ وَلا قُوَّةَ إلا بِكَ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লা ইয়াতি বিল হাসানাতি ইল্লা আনতা; ওয়া লা ইয়াদফাউস সায়্যিআতি ইল্লা আনতা; ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিকা। অর্থ : হে আল্লাহ! কল্যাণ কেবল তুমিই আনতে পার; অনিষ্ট দূর করার ক্ষমতা কেবল তোমারই; কেবল তুমিই সব শক্তি সামর্থে্যর উৎস। (আবু দাউদ)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অশুভ কাজ থেকে হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন্। আমিন।