কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতরবৃহস্পতিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরপবিত্র কাবা শরীফ থেকে তিন কিলোমিটার দূর গেলো তারাবির নামাজের কাতার
No icon

রোজাদারের জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির বিশেষ মুহূর্ত

রমজান মাসে রোজাদারের জন্য বিশেষ কিছু আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে। যে সময়গুলোতে মহান আল্লাহ রোজাদারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন বলে জানিয়েছেন স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও আনন্দের সেই মুহূর্ত কোনটি?

হ্যাঁ, রোজাদারের জন্য অবশ্যই এটি আনন্দের কারণ যে, রমজানের বিশেষ একটি সময়ে আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশি লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। সে মুহূর্তটি হলো ইফতারের সময়। হাদিসে এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ইফতারের মুহূর্তে আল্লাহ তাআলা বহু লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। আর মুক্তির এ প্রক্রিয়া রমজানের প্রতি রাতেই চলতে থাকে।(মুসনাদে আহমাদ)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইফতারের এ সময়টিকে রোজাদার বান্দার জন্য আনন্দের মুহূর্ত বলেছেন। পাশাপাশি রোজা পালনকারীর জন্য আরও একটি আনন্দের মুহূর্তের কথাও তিনি বলেছেন। হাদিসে এসেছে- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,রোজাদারের জন্য দুইটি বিশেষ আনন্দঘন মুহূর্ত রয়েছে। একটি হলো- ইফতারের সময়; অন্যটি হলো- তার রবের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও আত্মশুদ্ধি অর্জনের এ সময়গুলোতে ইফতারের সময় আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা করা। জাহান্নামের আজাব থেকে হেফাজতের দোয়া করা। পরকালের মাওলায়ে কারিমের সাক্ষাত পাওয়ার তাওফিক কামনা করা।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী ইফতারের বিশেষ দুটি নেয়ামত জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও আল্লাহর দিদার পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।