পরকালে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে মুমিন বান্দার চূড়ান্ত চাওয়া-পাওয়া। অথচ কত ভয়ংকর কথাই না এটি যে, মহান আল্লাহ তিন শ্রেণির মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তারা ভোগ করবে নির্ধারিত আজাব! তারা কারা?
প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন তিন শ্রেণির মানুষকে চিহ্নিত করেছেন; যাদের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তারা ভোগ করবে নির্ধারিত আজাব। হাদিসের বর্ণনায় তা সুস্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে। তারা হলো-
হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, একবার নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তিন শ্রেণির লোক; যাদের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন-
১. কথা বলবেন না;
২. তাদের প্রতি (দয়ার) দৃষ্টি দেবেন না;
৩. তাদের (গুনাহ ক্ষমা করে দিয়ে) পাক-পবিত্র করবেন না;
৪ আর তাদের জন্য রয়েছে (নির্ধারিত) কঠিন (আজাব) শাস্তি।
হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু এ কথাগুলো শোনার পর সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলেন হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যাদের জন্য (এতো) অধঃপতন ও ধ্বংস;তারা কারা<
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন; (তারা হলো)-
১. যে লোক পরনের কাপড় টাখনুর (পায়ের গিরার) নিচে পরে;
২. যে দান (সাদকাহ) করে খোঁটা দেয়;
৩. যে লোক নিজের মাল বেশি চালু (ব্যবসা) করার চেষ্টায় মিথ্যা কসম করে। (মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, দারেমি, তারগিব, মিশকাত)
হাদিসটি প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা। উল্লেখিত তিনটি কাজই মানুষের মধ্যে রয়েছে। এমন অনেকেই আছেন যারা ইচ্ছা করে টাখনুর নিচে কাপড় পরে, দান-সাদকাহ করে খোঁটা দেয় এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে অহরহ মিথ্যা কসম করে।
হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী এসব লোকদের জন্য উল্লেখিত ভয়ংকর ৪টি অবস্থা বিরাজ করবে। তাদের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলবেন না; তাদের দিকে রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না; গুনাহ থেকেও তাদের পবিত্র করবেন না এমনকি তাদের জন্য রয়েছে নির্ধারিত কঠোর শাস্তি।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ইচ্ছাকৃতভাবে টাখনুর নিচে কাপড় না পরা; দান সাদকা করে খোঁটা দেওয়া থেকে বিরত থাকা; ব্যবসা-বাণিজ্যে অযথা মিথ্যা কসম না করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। উল্লেখিত তিনটি কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখার তাওফিক দান করুন। ভয়ংকর পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন।