নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে ওমর! উঠ এবং তিনবার ঘোষণা করে দাও- ঈমানদার ব্যতীত অন্য কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না। আবার হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে ৩ কাজ মানুষকে জান্নাতে যেতে দেবে না। কী সেই ৩ কাজ?
হজরত সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- مِنْ ثَلاَثٍ الْكَنْزِ وَالْغُلُولِ وَالدَّيْنِ دَخَلَ الْجَنَّةَ যে ব্যক্তির প্রাণ (রূহ) তার দেহ ত্যাগ করে এবং সেই সময় সে তিনটি কাজ থেকে মুক্ত থাকে সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে(আর সে তিনটি কাজ হলো)- অহংকারখিয়ানত ও ঋণ। (তিরমিজি, মুসনাদে আহমাদ)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে লোক তিনটি বিষয়ে অর্থাৎ অহংকার, গণিমতের সম্পদ আত্মসাৎ ও ঋণ থেকে মুক্ত অবস্থায় মারা গেল; সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
হাদিস দুটিতে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৩ কাজ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে বলেছেন। যারা অহংকার করা থেকে, গণিমতের মাল আত্মসাৎ কিংবা খিয়ানত করা থেকে এবং ঋণমুক্ত থাকবেন; তারা মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে জান্নাতে যাবেন। তাদের দেহ থেকে রূহ বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা জান্নাতি।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, অহংকার থেকে মুক্ত থাকা। আমানতের খিয়ানত না করা এবং ঋণগ্রস্ত হলে তা থেকে দ্রুত মুক্ত হওয়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অহংকার, খিয়ানত ও ঋণ থেকে মুক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন। মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে জান্নাত পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।