যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

কেয়ামতের দিন হিসাব সহজ হওয়ার দোয়া

কেয়ামতের দিন প্রতিটি মানুষের অবস্থা হবে ভয়াবহ। সেদিন কেউ কারো কোনো উপকারে আসবে না। আবার কেউ তার নেক আমল দিয়ে কিংবা হিসাব দিয়েও পার পাবে না। এ কারণে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মর্মে সতর্ক করেছেন, যার হিসাব পরীক্ষা করা হবে; তাকে আজাব দেওয়া হবে। তবে কেয়ামতের দিন হিসাব সহজ হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে বলেছেন বিশ্বনবি। কী সেই দোয়া?

কেয়ামতের দিন হিসাব সহজ হওয়ার জন্য নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে এভাবে দোয়া করতেন এবং দোয়া করতে বলতেন-

اللَّهُمَّ حَاسِبْنِي حِسَابَاً يَسِيرَاً উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাহাসিবনিহিসাবাইইয়াসিরা।

অর্থ : &হে আল্লাহ! (কেয়ামতের দিন) আমার কাছ থেকে সহজ করে হিসাব নিও।

পরকালে প্রতিটি মানুষকে তার কর্মের হিসাব দিতে হবে। সেদিন যাদের ডান হাতে আমলনামা আসবে; তারা সফল। বিষয়টি কোরআনে এভাবে ওঠে এসেছে-

فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِيْنِهِ فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيْرًا وَّ یَنۡقَلِبُ اِلٰۤی اَهۡلِهٖ مَسۡرُوۡرًا

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন কোরআনের এ ঘোষণার এ বিষয়টি নবিজীর সামনে তুলে ধরলেন; তখন নবিজী কী বলেছেন? হাদিসে এসেছে-

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন কেয়ামতের দিন যারই হিসাব নেয়া হবে সে ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি বললাম, (এ কথা শুনে হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন) হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহ কি বলেননি-

এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তা কেবল পেশ করা মাত্র। কেয়ামতের দিন যার হিসাব খতিয়ে দেখা হবে তাকে অবশ্যই আজাব দেওয়া হবে।(বুখারি)

মনে রাখতে হবে

আল্লাহর রহমত ছাড়া পরকালে হিসাব সহজ কিংবা নাজাতের কোনো উপায় নেই। আল্লাহর রহমত ও তাঁর কাছে দোয়ার বরকতেই তিনি বান্দার হিসাব সহজ করে পরকালের নাজাত দান করবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার কাছে বেশি বেশি দোয়া হিসাব সহজের দোয়া করার তাওফিক দান করুন। ডান হাতে আমলনামা পেয়ে পরকালের সব বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।