আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদের জন্য দুই শব্দের একটি তাসবিহ নির্ধারণ করেছেন। দুই শব্দের এই তাসবিহটি আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। হাদিসের বর্ণনায় প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন। শব্দ দুইটি কী?
হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে দেখতে যান অথবা তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখতে যান। আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হে আল্লাহ রাসুল! আমার বাবা-মা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক। আল্লাহ তাআলার কাছে কোন কথাটি সবচেয়ে বেশি প্রিয়?
তিনি বললেন,আল্লাহ তার ফেরেশতাদের জন্য যে বাক্যটি নির্বাচন করেছেন। তাহলো- سُبْحَانَ رَبِّي وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ رَبِّي وَبِحَمْدِهِ উচ্চারণ : সুবহানা রাব্বি ওয়া বিহামদিহি; সুবহানা রাব্বি ওয়া বিহামদিহি
অর্থ : আমার রব অতি পবিত্র, সব প্রশংসা তার জন্য; আমার প্রভু অতি পবিত্র, সব প্রশংসা তার জন্য। (তিরমিজি, মুসলিম, তালিকুর রাগিব)
এ তাসবিহ একটি আমল। যা বান্দাকে আল্লাহর সবচেয়ে কাছাকাছি করে দেয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর খুব কাছাকাছি হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করে; তার জন্য কোনো চিন্তা নেই। সেই সফলকাম।
তাসবিহ আল্লাহর ইবাদতই নয় বরং এটি মহান আল্লাহর নির্দেশ। আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে তার কাছে বেশি বেশি তাসবিহ করার কথা বলেছেন। তাসবিহ পাঠ করে ক্ষমা প্রার্থনা কথা বলেছেন। কোরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ এভাবে নির্দেশ দেন-
فَسَبِّحۡ بِحَمۡدِ رَبِّکَ وَ اسۡتَغۡفِرۡهُ অএব তুমি তোমার রবের সপ্রশংস তাসবিহ পাঠ কর এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাও। (সুরা নছর : আয়াত ৩)
সুতরাং এ আয়াত দ্বারাও প্রমাণিত তাসবিহ আল্লাহর কাছে খুব বেশি প্রিয়। তাই মুমিন মুসলমানের উচিত, আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে হাদিসে নির্দেশিত তাসবিহটি বেশি বেশি পড়া। কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনার ওপ যথাযথ আমল করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় কথাটি বেশি বেশি পড়ার এবং আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।