যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

যে জিকিরের পুরস্কার আল্লাহ নিজে দেবেন

এক বান্দা আল্লাহর সম্মান ও মর্যাদার তারিফ করেন; যা শুনে ফেরেশতারা আশ্চর্য হয়ে যান। তার এ প্রশংসার বিনিময় কী লিখবেন তা নিয়েও তারা হতবাক হয়ে যান। সে সময় মহান প্রভু ফেরেশতাদের ডেকে বলেন, তোমরা আমার বান্দার বাক্যগুলো লিখে রাখ; আমি নিজে তাকে এর প্রতিদান দেব। সেই মর্যাদার প্রশংসামূলক বাক্যগুলো কী?

ফেরেশতাদের কাছে জিকিরের কথা শুনে মহান আল্লাহ তাআলা জানতে চান, আমার বান্দা কী প্রশংসা করেছেন। যদিও তা তিনি জানেন। আর তাহলো-

يَا رَبِّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا يَنْبَغِي لِجَلاَلِ وَجْهِكَ وَعَظِيمِ سُلْطَانِكَ উচ্চারণ : ইয়া রাব্বি লাকাল হামদু কামা ইয়ামবাগি লিঝালালি ওয়াঝহিকা ওয়া আজিমি সুলত্বানিকা।

অর্থ : হে প্রভু! তোমার মহিমান্বিত চেহারার এবং তোমার মহান রাজত্বের উপযোগী প্রশংসা তোমার জন্য। হাদিসের পুরো বর্ণনাটি হলো-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহর বান্দাগণের মধ্যে এক বান্দা বললো-

يَا رَبِّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا يَنْبَغِي لِجَلاَلِ وَجْهِكَ وَعَظِيمِ سُلْطَانِكَ

উচ্চারণ : ইয়া রাব্বি লাকাল হামদু কামা ইয়ামবাগি লিঝালালি ওয়াঝহিকা ওয়া আজিমি সুলত্বানিকা।

অর্থাৎ হে প্রভু! আপনার মহিমান্বিত চেহারার এবং আপনার মহান রাজত্বের উপযোগী প্রশংসা আপনার জন্য দুইজন ফেরেশতা একথা শুনে হতবাক হলেন এবং তারা ঠিক বুঝে উঠতে পারলেন না যে, তা কীভাবে লিপিবদ্ধ করবেন। তাই তারা আসমানে আরোহণ করে বলেন, হে আমাদের প্রভু! আপনার এক বান্দা এমন একটি বাক্য বলেছে, যা আমরা কীভাবে লিখবো তা বুঝে উঠতে পারছি না।

মহান আল্লাহ জিজ্ঞেস করলেন- আমার বান্দা কী বলেছে যদিও তাঁর বান্দা যা বলেছে তা তিনি সম্যক অবগত। ফেরেশতাদ্বয় বলেন, হে আমাদের প্রভু! সে বলেছে-

يَا رَبِّ لَكَ الْحَمْدُ كَمَا يَنْبَغِي لِجَلاَلِ وَجْهِكَ وَعَظِيمِ سُلْطَانِكَ উচ্চারণ :ইয়া রাব্বি লাকাল হামদু কামা ইয়ামবাগি লিঝালালি ওয়াঝহিকা ওয়া আজিমি সুলত্বানিকা।

অর্থ : হে প্রভু! তোমার মহিমান্বিত চেহারার এবং তোমার মহান রাজত্বের উপযোগী প্রশংসা তোমার জন্য।

মহান আল্লাহ তাআলা তাদেরকে বলেন, আমার বান্দা যেভাবে বলেছে, সেভাবেই লিখে রাখো। (পরকালে) আমার সঙ্গে (একান্ত) সাক্ষাতের সময় আমি তাকে তার বিনিময় দান করবো। (ইবনে মাজাহ)

অনেকে বলে থাকেন, আল্লাহর প্রিয় বান্দারা এ জিকির বা তাসবিহটি রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় পড়ে থাকেন।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, তাৎপর্যপূর্ণ জিকিরটি পড়ে পরকালের বিশেষ দিনে এ আমলের বিশেষ প্রতিদান পাওয়ার চেষ্টা করা। নামাজের রুকু থেকে দাঁড়িয়ে মহান রবের জন্য এ প্রশংসা পড়া। এছাড়াও যখনই প্রশংসা করার সুযোগ হয় তখনই এ প্রশংসায় নিয়োজিত হওয়া।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে শেখানো জিকিরটি যথাযথভাবে করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। মহান রবের কাছ থেকে সরাসরি প্রতিদান পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।