যেসব জায়গায় জুমার নামাজ শুদ্ধ হয় নাঅজুর সময় কথা বলা কি নাজায়েজ?কোরআনের চর্চা অব্যাহত রাখা আবশ্যকশাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলতসৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
No icon

দুনিয়াতে নিজের পাপ গোপন রাখার উপকারিতা

পাপের কথা বলে বেড়াতে নেই। কারণ পাপের কথা অন্যের কাছে প্রকাশ করলে তার সাক্ষী হয়ে যায়। এ জন্য কখনো কোনো পাপ করে ফেললে তা গোপন রাখতে হয়। পাপ হোক চাই নিজের কিংবা অন্যের। হাদিসে পাকে নিজের কিংবা অন্যের পাপ বলে বেড়াতে নিষেধ করা হয়েছে। এ পাপ গোপন রাখায় রয়েছে পরকালের বিশেষ উপকার। কী সেই উপকার?

পাপ গোপন রাখলে মহান আল্লাহ সেই পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের পর তা ক্ষমা করে দেবেন বলে হাদিসে ঘোষণা করেছেন এভাবে-

হজরত সাফওয়ান ইবনু মুহরিব আল-মাযিনি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি একদিন ইবনু ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর সঙ্গে তাঁর হাত ধরে চলছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে জানতে চাইলো-

কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা ও তাঁর মুমিন বান্দার একান্তে কথাবার্তা সম্পর্কে আপনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কী বলতে শুনেছেন?

তখন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে,আল্লাহ তাআলা মুমিন ব্যক্তিকে নিজের কাছে নিয়ে আসবেন এবং তার উপর স্বীয় আবরণ দ্বারা তাকে ঢেকে নেবেন।

তারপর (আল্লাহ তাআলা একটি পাপের কথা উল্লেখ করে) জিজ্ঞাসা করবেন ঐ পাপের কথা কি তুমি জান

তখন সে বলবে, হ্যাঁ হে আমার প্রতিপালক! এভাবে তিনি তার কাছ থেকে তার পাপগুলো স্বীকার করিয়ে নেবেন। আর সে মনে করবে যে, তার ধ্বংস অনিবার্য।

তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন- سَتَرْتُهَا عَلَيْكَ فِي الدُّنْيَا وَأَنَا أَغْفِرُهَا لَكَ الْيَوْمَ فَيُعْطَى كِتَابَ حَسَنَاتِهِ আমি পৃথিবীতে তোমার পাপ গোপন করে রেখেছিলাম। আর আজ আমি তা মাফ করে দেব। তারপর তার নেকের আমলনামা তাকে দেয়া হবে।

কিন্তু কাফির ও মুনাফিকদের সম্পর্কে সাক্ষীরা বলবে, এরাই তাদের প্রতিপালক সম্পর্কে মিথ্যা বলেছিল। সাবধান, জালিমদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। (বুখারি)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নিজেরা যদি কোনো কারণে ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায় কোনো পাপ কাজ করে ফেলে; তবে তা কাউকে না বলা। অন্যের কাছে নিজের পাপের কথা বলে সাক্ষী দাঁড় করানো থেকে বিরত থাকা। তবেই মহান আল্লাহ বান্দার সেই পাপ ক্ষমা করে দেবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। নিজেদের পাপ প্রকাশ না করে গোপন রেখে আল্লাহর কাছে তাওবাহ-ইসতেগফার করার তাওফিক দান করুন। অন্যের পাপের কথা বলে বেড়ানো থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।