আল্লাহ ভয় সঠিক পথের ওপর অটল ও অবিচল থাকার অন্যতম উপায়। আল্লাহর ভয় ও সৎ মানুষর সংস্পর্শে থাকার সৌভাগ্য সবার হয় না। তাই রমজানের ক্ষমার দশকের তৃতীয় দিনে তাকওয়া ও সালেহিনদের সঙ্গী হতে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি এ দোয়া করা-
اَللَّهُمَّ طَهِّرْنِيْ فِيْهِ مِنَ الدَّنَسِ وَالْأَقْذَارِ، وَصَبِّرْنِيْ فِيْهِ عَلَى كَائِنَاتِ الْأَقْدَارِ، وَوَفِّقْنِيْ فِيْهِ ِللتَّقَى وَصُحْبَةِ الْأَبْرَارِ، بِعَوْنِكَ يَا قُرَّةَ عَيْنِ الْمَسَاكِيْن উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ত্বাহহিরনি ফিহি মিনাদ্দা নাসি ওয়াল আক্বজারি ওয়া সাব্বিরনি ফিহি আলা কায়িনাতিল আক্বদারি ওয়া ওয়াফ্ফি ক্বনি ফিহি লিততুক্বা ওয়া সুহবাতিল আবরারি বিআওনিকা ইয়া কুর্রাতা আইনিল মাসাকিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! এদিনে আমাকে পাপরাজি ও অপবিত্রতা থেকে পবিত্র কর। যা কিছু তকদির অনুযায়ী হয়, তা মেনে চলার ধৈর্য আমাকে দান কর। তোমার বিশেষ অনুগ্রহে আমাকে তাকওয়া অর্জন এবং সৎ কর্মশীলদের সাহচর্যে থাকার তাওফিক দাও। হে অসহায়দের আশ্রয়দাতা।
< কুরআনুল কারমের এ দোয়াগুলোও বেশি বেশি পড়া- رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ উচ্চারণ : রাব্বানা লা তুযিগ কুলুবানা বাদা ইজ হাদাইতানা ওয়াহাবলানা মিল্লাদুংকা রাহমাতান ইন্নাকা আংতাল ওয়াহ্হা ব।
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! হেদায়েত লাভের পর আমাদের অন্তরকে বাঁকা করিও না এবং আমাদের জন্য তোমার রহমত দান করো। নিশ্চয়ই তুমি সর্বোত্তম দাতা। (সুরা আল ইমরান : আয়াত ৭)
لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বালিমিন।
অর্থ : তুমি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই; তুমি নির্দোষ আমি গোনাহগার। < رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ উচ্চারণ : রাব্বি লা তাজারনি ফারদাও ওয়া আংতা খাইরুল ওয়ারিছিন।
অর্থ : হে আমার পালনকর্তা আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আগে এভাবেও সাহায্য চাওয়া যায়- رَبِّ احْكُم بِالْحَقِّ وَرَبُّنَا الرَّحْمَنُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ উচ্চারণ : রাব্বিহকুম বিলহাক্কি ওয়া রাব্বুনাররাহমানুল মুসতাআনু আলা মা তাসিফুনা।
অর্থ : হে আমার পালনকর্তা, আপনি ন্যায়ানুগ ফয়সালা করে দিন। আমাদের পালনকর্তা তো দয়াময়, তোমরা যা বলছ, সে বিষয়ে আমরা তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ১১২)
রোজাদারের মনে রাখা জরুরি
আল্লাহ তাআলা মন্দ কাজ সংঘটিত হওয়ার সব বিষয়গুলোকে হালকা করেছেন রোজাদারের ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য। জান্নাতের দরজা খুলে দিয়েছেন জান্নাতি পরিবেশ লাভের জন্য। আবার জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বেড়ি পড়ানোর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে দিয়েছেন।
সুতরাং রমজানের দ্বিতীয় দশকে আল্লাহ ক্ষমা লাভে অস্রু বিসর্জনের বিকল্প নেই। আল্লাহর কাছে ঈমানদার রোজাদারের চোখের পানির মূল্য অনেক। ঈমানদার যদি আল্লাহর ক্ষমা লাভে অস্রু বিসর্জন দিতেই পারে তবে সে পানি মাটিতে পরার আগেই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার রহমতের ওসিলায় দুনিয়ার যাবতীয় অন্যায় ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থেকে ক্ষমা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।